এই মামলায় কেন অবিলম্বে জামিন শুনানি হবে না তা জানতে চেয়ে হাই কোর্টের রুল জারির পর জামিন আবেদন শোনার তারিখ ১৩ দিন এগিয়ে আনা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস পাল জানান, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানির জন্য গত রোববার এই দিন ঠিক করে দিয়েছেন।
গত ৪ অগাস্ট রাতে ঢাকার বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক আইনে এ মামলা করা হয়।
জব্দ তালিকায় পরীমনির বাসা থেকে ‘মদ এবং আইস ও এলএসডির মতো মাদকদ্রব্য’ উদ্ধারের কথা বলা হয়।
এ মামলায় তিন দফায় সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। তৃতীয় দফা রিমান্ড শেষে গত ২১ অগাস্ট পরীমনিকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরদিন পরীমনির পক্ষে জামিন আবেদন করা হলে মহানগর দায়রা জজ আদালত শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন রাখেন। পরদিন আরেক আবেদনে ‘দ্রুত শুনানির’ আর্জি জানান পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান।
তাতে সাড়া না পেয়ে গত ২৫ অগাস্ট তিনি হাই কোর্টে আবেদন করেন। সেখানে রুল চাওয়ার পাশাপাশি পরীমনির জামিনের আবেদনও করা হয়।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ ২৬ অগাস্ট সরাসরি জামিনের আদেশ না দিয়ে রুল জারি করে।
আদেশের অনুলিপি পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে পরীমনির জামিন আবেদনের শুনানি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
সেইসঙ্গে ২২ অগাস্ট পরীমনি জামিন অবেদন করার পর শুনানির জন্য ২১ দিন পর তারিখ রেখে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত যে আদেশ দিয়েছে, সেটি কেন বাতিল করা হবে না, তাও জানতে চায় হাই কোর্ট।
১ সেপ্টেম্বর রুল শুনানির তারিখ রেখে এই সময়ের মধ্যে মহানগর দায়রা জজ আদালতকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ আদেশ বিবাদীর কছে পৌঁছানোর জন্য সরকারের আইন কর্মকর্তাদেরও নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
শুনানিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম সেদিন রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে বলেন, “জামিন আবেদনের বিষয়ে নিম্ন আদালত রীতিনীতির বাইরে গিয়ে আদেশ দিয়েছে। ২১ দিন পর আদেশ দেবে, এটা জামিন আবেদনটি খারিজ করার শামিল।”
গত রোববার সেই রুল শুনানির নির্ধারিত তারিখের আগেই পরীমনির জামিন শুনানির জন্য তারিখ দেয় মহানগর দায়রা জজ আদালত।