শনিবার সকালে মেয়র মিরপুর বিআরটিএ কার্যালয়ে মশা নিধনের বিশেষ অভিযানে যান। এসময় সেখানে এইডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়।
মেয়র আতিক বলেন, “অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বিআরটিএ যানবাহনের লাইসেন্স দেওয়ার পাশাপাশি এইডিস মশার লাইসেন্সও দিচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক।”
প্রতিষ্ঠানটি ‘মশা উৎপাদনের কারখানায়’ পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “অফিসটির ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি লার্ভা পাওয়া গেছে বলেই এর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
“ব্যক্তিগত, সরকারি কিংবা বেসরকারি যে কোনো ভবনেই এইডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”
কারও একার পক্ষে এ কাজ সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, “সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশপাশের পরিবেশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে এইডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ এবং ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”
রাজধানীর মিরপুর এলাকায় সুস্থতার জন্য চলমান সামাজিক আন্দোলন ‘১০টায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি পরিষ্কার’ স্লোগান বাস্তবায়ন এবং মশক নিধনে এই বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।
মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, এইডিস মশার ঘনত্ব বিবেচনায় ডিএনসিসির ১০, ১১, ১৪, ১৭, ২০ ও ৩৫ এই ৬টি ওয়ার্ডে সপ্তাহ জুড়ে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযান চলবে।