মাদক আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির জামিন আবেদনের ওপর অবিলম্বে শুনানি করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের কাছে তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
Published : 26 Aug 2021, 03:00 PM
পরীমনির আইনজীবীর করা এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রুল জারি করে।
গত ২২ অগাস্ট পরীমনির পক্ষে জামিন আবেদন করা হলে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন রাখেন। পরদিন আরেক আবেদনে ‘দ্রুত শুনানির’ আর্জি জানান পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান।
তাতে সাড়া না পেয়ে বুধবার তিনি হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন। সেখানে রুল চাওয়ার পাশাপাশি পরীমনির জামিনের আবেদনও করা হয়।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট সরাসরি জামিনের আদেশ না দিয়ে রুল জারি করেছে। আদেশের অনুলিপি পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে পরীমনির জামিন আবেদনের শুনানি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
সেই সঙ্গে ২২ অগাস্ট পরীমনি জামিন অবেদন করার পর শুনানির জন্য ২১ দিন পরের তারিখ রেখে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত যে আদেশ দিয়েছে, সেটি কেন বাতিল করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর রুল শুনানির তারিখ রেখে এই সময়ের মধ্যে মহানগর দায়রা জজ আদালতকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
হাই কোর্টের এ আদেশ বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিবাদীর কছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম গত ১৯ অগাস্ট পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে এ মামলায় তৃতীয় দফায় আরও এক দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।
মাদক আইনের মামলায় তৃতীয় দফা রিমান্ড শেষে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে শনিবার আদালত হয়ে প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ছবি: কাজী সালাহউদ্দিন রাজু
কিন্তু পরীমনির আইনজীবীরা জামিনের কোনো আবেদন সেদিন করেননি। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম আশেক ইমাম পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জামিন আবেদন না করায় শুনানি শেষে পরীমনি প্রকাশ্যেই তার আইনজীবীদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী ও কামরুজ্জামান চৌধুরীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আপনারা জামিন চান না কেন? আমি তো পাগল হয়ে যাচ্ছি।”
“আপনারা বুঝতেছেন, আমার কী কষ্ট হচ্ছে? আপনাদের নিজেদের মধ্যে কী হয়েছে? কেন জামিন চাচ্ছেন না?”
পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান পরদিন ঢাকার জজ আদালতে জামিনের আবেদন জমা দেন। বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ সে আবেদন শোনার জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন রাখেন, যা নিয়ে এখন আপত্তি করছেন পরীমনির আইনজীবী।
রিটা আবেদন করার পর বুধবার মজিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “পরীমনির অসুস্থতা এবং তার জামিনের অনিবার্যতার বিষয়টি উল্লেখ করে আবেদনটি করা হয়েছিল। কিন্তু আবেদনটির শুনানি এত দীর্ঘ সময় পর রাখা হয়েছে।
“মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করলে এত লম্বা তারিখ দেওয়ার কথা না। এতে আমরা অসন্তুষ্ট। ফলে এ আদেশের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে (হাই কোর্টে রিভিশন) আবেদনটি করা হয়েছে। সাথে পরীমনির জামিন চাওয়া হয়েছে।”
পুরনো খবর