ঢাকা মহানগরের ১ নম্বর বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে বুধবার দ্বিতীয় দিনের মত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।
গত ৩ মার্চ এ মামলায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হলেও মহামারীর কারণে সাক্ষগ্রহণ পিছিয়ে যায়। আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর পর মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
মামলার বাদী র্যাব-১ এর পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন, পুলিশের এসআই জাকির হোসেন, র্যাবে দায়িত্বরত এসআই সাজিদুল হোসেন, কনস্টেবল অনিস, ড্রাইভার সফিকুল ইসলা এবং শহিদুল ইসলাম ও মোতালেব হোসেন নামে দুই ব্যক্তি বুধবার সাক্ষ্য দেন।
পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহিনুল ইসলাম অনি তাদের জেরা করেন। দিনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিচারক পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার দিন রেখেছেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস পাল জানান।
অবৈধ অস্ত্র, জাল নোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গতবছর ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক মালেককে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তখন তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি টাকার জাল নোট উদ্ধারের কথা জানানো হয়।
সে ঘটনায় র্যাব-১ এর পরিদর্শক (শহর ও যান) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। এরপর মালেককে ১৪ দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ।
এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় গত ১১ জানুয়ারি মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই মেহেদী হাসান চৌধুরী।
আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আদালত গত ১১ মার্চ এ মামলার বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
মালেককে গ্রেপ্তারের পরদিন দুদক জানায়, আগে থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়ম’ সাড়ে জড়িত অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। তাদের মধ্যে গাড়িচালক মালেকও রয়েছেন।
মালেককে গ্রেপ্তারের পর র্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, অবৈধ অর্থে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন স্বাস্থ্যের এই গাড়িচালক।
র্যাব কর্মকর্তারাদের ভাষ্য অনুযায়ী, তুরাগের দক্ষিণ কামারপাড়ায় ২টি সাততলা ভবন, একই এলাকায় একটি বিশাল ডেইরি ফার্ম, ধানমন্ডির হাতিরপুলে সাড়ে ৪ কাঠা জমিতে একটি নির্মাণাধীন ১০তলা ভবন ছাড়াও কলাবাগানসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে মালেকের। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থও জমা আছে।
পরে মালেকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে তার অবৈধ সম্পদের তথ্য পায় দুদকও।
এরপর মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৬০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুটি মামলা করে দুদক।
পুরনো খবর