শুক্রবার রাতে বিআইডব্লিউটিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মিশা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এতথ্য জানান।
তিনি বলেন, স্রোতের সময় ফেরির নিয়ন্ত্রণ রাখতে সমস্যা হয় বলে সেতুর নিচ দিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এই নৌরুট ব্যবহারকারীদের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরি রুট ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে।
তাহলে শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে কিনা জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্রোতের সময় ফেরির নিয়ন্ত্রণ রাখা কষ্টকর। তাই বিকল্প নৌরুট ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
“কিছু লাশবাহী যান পারাপার করা হবে। বাকি যানবাহনকে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হবে।”
শুক্রবার রাতে এক সভায় এধরনের ঘটনা এড়াতে পদ্মা সেতুর পিয়ারে রাবার লাগানো, আলোকসজ্জা করাসহ ‘সবকিছুই আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটগামী ‘কাকলী’ শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিয়ারে ধাক্কা দেয়।
পরে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাট, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট ও শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি ঘাট পরিদর্শন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “পদ্মা সেতুতে ফেরি বার বার ধাক্কা দিচ্ছে। এতে হালকা আঘাত লাগলেও আমরা এটাকে হালকাভাবে দেখছি না, আমরা এতে বিব্রত হচ্ছি।
“এব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের কিছু নির্দেশনা ছিল। এই নির্দেশনা পালনের ক্ষেত্রে আমরা কিছু উদাসীনতা লক্ষ্য করেছি।"
এর আগে ৯ অগাস্ট রাতে ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিয়ারে ধাক্কা খায়। তাতে ফেরিতে থাকা দুটি প্রাইভেটকার ও একটি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ফেরির পাঁচ যাত্রী আহত হন।
তারও আগে ২৩ জুলাই মাদারীপুরের বাংলাবাজারঘাট থেকে শিমুলিয়ায় আসার পথে একটি ফেরি সেতুর ১৭ নম্বর পিয়ারে আঘাত করেছিল।
প্রথম দুটি ঘটনায় থানায় জিডি করার পাশাপাশি চালকদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও চালকদের অসতর্কতা ও অবহেলাকে দায়ী করা হয়।
দুর্ঘটনা এড়াতে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ভারি যানবাহন বহনকারী ফেরি চলাচল বন্ধ করতে বলেছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারপরও একই ঘটনা ঘটছে।