বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় শনিবার তাকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন ঢাকার মহানগর হাকিম মাসুদ-উর-রহমান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. আব্দুস ছোবাহান আসামি জিমিকে আদালতে হাজির করেন।
তিনি ১০ দিনের জন্য হেফাজতে নিতে আবেদন করলেও সাত দিন কম পেয়েছেন।
জিমির পক্ষে তার আইনজীবী খলিলুর রহমান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করলেও তা প্রত্যাখ্যাত হয়।
শুনানিতে তিনি বলেছিলেন, “জিমি শুধু পরীমনির নয়, অনেক চিত্রনায়িকারই ফ্যাশন ও কস্টিউম ডিজাইনার। পরীমনির সঙ্গে আলাদা করে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না।”
র্যাব পরীমনিকে গ্রেপ্তারের দুদিন পর শুক্রবার রাতে গুলশানের একটি বাসা থেকে জিমিকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।
পরে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকের মামলা দায়ের করা হয়, যাতে তার কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধারের কথা উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত ৪ অগাস্ট বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটকের পর তার বিরুদ্ধেও মাদকের মামলা করে র্যাব। সেই মামলায় তিনি এখন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি।
পরীমনি গত জুন মাসে ঢাকা বোট ক্লাবে গিয়ে ‘নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার শিকার’ হওয়ার অভিযোগ তোলার পর জিমির নামও আলোচনায় আসে। জিমিও সেদিন বোট ক্লাবে পরীমনির সঙ্গে ছিলেন।
পরীমনির বনানীর বাসায় ১৩ জুনের সেই সংবাদ সম্মেলনে বোটক্লাবের ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে পরীমনিকে ‘মারধরের’ ঘটনা এবং নিজেও মারধরের শিকার হওয়ার কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেছিলেন জিমি।
তবে এরপর পরীমনির বিরুদ্ধেই আরেকটি ক্লাবে ভাংচুর চালানোর অভিযোগ আসে। তার সঙ্গে বিভিন্ন ক্লাবে জিমিরও নিয়মিত যাতায়াত ছিল।