বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, “মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বেশিরভাগই অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন, আমি অনলাইনে সংযুক্ত ছিলাম। সেখানে আসলে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত হয়নি যে, ১৮ বছরের বেশি বয়সের কেউ (টিকা না নিয়ে) বের হলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে।”
“বৈঠকে মাস্ক পরার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। একই সাথে স্বাস্থ্যবিধি যাতে সবাই মানে, সেটির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। মাস্ক না পরলে যাতে তাৎক্ষণিক শাস্তি দেওয়া যায় সেজন্য পুলিশ যাতে জরিমানা করতে পারে, আইনের মধ্যে থেকে কীভাবে সেটা করা যায়, সে বিষয়ে সবাই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।”
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর বক্তব্যটি তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে বলে মত দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সভায় এ ধরনের সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”
এর আগে লকডাউনের পর ১৮ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের টিকা না নিয়ে চলাচল ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধহবে জানিয়ে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছিল তা বুধবার দুপুরে প্রত্যাহার করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এদিকে লকডাউনের পর ১৮ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের টিকা না নিয়ে চলাচল ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ হবে জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের হুঁশিয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য নয় বলে জানানো হয়েছে।
কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও পরবর্তী করণীয় নিয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউনের সময়সীমা আরও পাঁচ দিন বাড়িয়ে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আগামী এক সপ্তাহ ব্যাপকভিত্তিক টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনার পর ১১ অগাস্ট থেকে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস খোলারও সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া সীমিত পরিসরে ‘রোটেশন করে’ যানবাহনও চলবে সে সময়।
বৈঠক শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেছিলেন, “১১ অগাস্ট থেকে ১৮ বছরের ওপরের কোনো মানুষ ভ্যাকসিন ছাড়া মুভমেন্ট করলে সেটিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। রাস্তাঘাটে, গাড়িঘোড়ায়, মোটরসাইকেল, সাইকেল, টেম্পু, বাস, ট্রেনে হোক চলাচল করলে টিকা নেওয়া থাকতে হবে। আমরা সেই সুযোগ করে দিচ্ছি। আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।”
দোকানপাট খোলার আগে ৭, ৮, ৯ অগাস্ট এই তিন দিন টিকা নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।