একই সঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়ে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মসূচিগুলো হচ্ছে কি না, সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলেছেন তিনি।
সোমবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ভার্চুয়ালি সব মহানগর, রেঞ্জ ও জেলার পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আইজিপি বেনজীর বলেন, “অগাস্ট আমাদের শোকের মাস। এ মাসে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে; রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী অনেক কার্যক্রম চালানো হয়েছে। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছে। ১৭ অগাস্ট জেএমবি দেশের ৬৩টি জেলায় সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছে।
“এজন্য আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। সন্ত্রাসী কার্যক্রম, সর্বহারাদের অপতৎপরতা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ইত্যাদি বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।”
মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’র কথাও বলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক।
“মাদকের সাথে কোনো পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে চাকরিচ্যুতিসহ তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে ‘বিট পুলিশিং’ এই মহামারীকালেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু রাখার নির্দেশ দেন আইজিপি।
“করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।”
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ায় তা প্রতিরোধে পুলিশের সব স্থাপনা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশও দেন বেনজীর।
তিনি বলেন, মহামারীকালে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ‘মানবিক পুলিশে’ পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
“আমরা এমন একটি পুলিশ রেখে যেতে চাই, যাতে অবসরে গেলে পুলিশকে নিয়ে গর্ব করতে পারি,” বলেন তিনি।