কারখানা খোলার দিনে ঢিলেঢালা ‘লকডাউন’

ঈদের ছুটির পর করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দেওয়া লকডাউনের দশম দিনে ঢাকায়  গত নয় দিনের চেয়ে সবচেয়ে ঢিলেঢালা ভাব ছিল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2021, 03:01 PM
Updated : 1 August 2021, 03:35 PM

দেশের প্রধান রপ্তানিমুখী শিল্প তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে লকডাউনের মধ্যেই রোববার কারখানা খুলে দেওয়া হয়।

শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য চালু ছিল লঞ্চ ও বাস; তাতে অন্যরাও যাতায়াত করেছেন। ফলে রোববার মানুষের যাতায়াত ছিল অন্য দিনের চেয়ে বেশি।

এদিন ‘অপ্রয়োজনে’ বের হওয়ার অভিযোগে ঢাকায় সব চেয়ে কম গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

রোববার ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩০৩ জন, যা আগের দিন ছিল ৩৮১ জন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের এক বার্তায় বলা হয়, রোববার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ৩০৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ১০৩ জনকে করা হয়েছে মোট এক লাখ ১৬ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা।

এছাড়া ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ১৮৩টি গাড়িকে মোট ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম।

সরকারের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে এই দফার লকডাউন মেনে চলার নির্দেশনা থাকলেও অনেকেই বাইরে বের হয়ে গ্রেপ্তার ও জরিমানার মুখে পড়ছেন।

এবারের এই লকডাউন চলবে ৫ অগাস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত। এই সময়ে ‘অতি জরুরি’ প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হওয়া মানা। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আগেরবারের মতই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী।

কিন্তু ১ অগাস্ট থেকে পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর হাজার হাজার শ্রমিক শত শত মানুষ দূর থেকে আসছেন কর্মস্থলে। সে কারণে শনিবার বাংলাদেশের সড়কের ছিল অনেক শ্রমিক; মাওয়া- বাংলাবাজার ফেরি ঘাটে হয় উপচে পড়া ভিড়।

র‌্যাব জানিয়েছে, বিধিনিষেধ কার্যকর করতে রোববার সারাদেশে ১৭৮টি টহল এবং ১৭৭টি চেকপোস্ট পরিচালনা করেছে তারা। বিনা প্রয়োজনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনামূলক মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণেও মত কর্মসূচিও চলছে।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলাদাভাবে এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে।

বিধি-নিষেধ অমান্য করায় সারাদেশব্যাপী পরিচালিত ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১০৩ জনকে ৬৬ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করেছে এদিন।

এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করতে বিনামূল্যে দেড় হাজারের বেশি মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে; বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে হ্যান্ড স্যানিটাইজারও সরবরাহ করেছেন র‌্যাব সদস্যরা।