লকডাউন: রোববার থেকে খুলছে রপ্তানিমুখী কারখানা

চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যে ১ অগাস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খোলা রাখার অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2021, 12:42 PM
Updated : 30 July 2021, 01:02 PM

শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে রপ্তানিমুখী কারখানাকে রোববার সকাল ৬টা থেকে বিধিনিষেধের আওতাবর্হিভূত রাখার সিদ্ধান্ত জানায়।

উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে এতদিন শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার বিষয়ে অনড় ছিল সরকার।

তবে তৈরি পোশাক শিল্পসহ সব ধরনের শিল্প কারখানা খুলে দিতে সরকারের উচ্চ মহলে বারবার অনুরোধ করছিলেন শিল্পমালিকরা।

বৃহস্পতিবার তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবারও অনুরোধ জানান।

এদিন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ ও ঢাকা চেম্বারের নেতারা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে এক বৈঠকে এই অনুরোধ জানান।

তারা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার হারানোর শঙ্কা, সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়া, বন্দরে জট, সার্বিক অর্থনীতিসহ সবকিছু বিবেচনা নিয়েই তারা এ অনুরোধ জানাতে বাধ্য হয়েছেন।

করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ হারের কারণে কোরবানি ঈদের পরদিন ২৩ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনে শিল্প কারখানা, সরকার-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের অফিস আদালত বন্ধ রাখা হয়।

ঈদের আগের লকডাউনের বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি ছাড়া সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিল্প কারখানা চালু ছিল।

কারখানা খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের পর বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন শুধু রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানাগুলোর রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চলবে।“

কারখানার কর্মী ও শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “অধিকাংশ কারখানার শ্রমিক কারখানার আশপাশে অবস্থান করছেন। আপাতত তাদেরকে দিয়ে কাজ চালিয়ে নেওয়া হবে। এর মধ্যে যারা বাড়ি চলে গেছেন, এসব শ্রমিক যদি আসতে পারেন তাহলে চলে আসবেন।“

লকডাউন শিথিল হওয়ার পর দূরের শ্রমিকরা চলে আসবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই কয়েকদিনের জন্য কারও চাকরি যাবে না, বেতন কাটা যাবে না। তবে সম্ভব হলে শ্রমিকরা অবশ্যই ফ্যাক্টরিতে চলে আসবেন।“