কোভিড: প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা টিকা নেবেন ১১ অগাস্টের মধ্যে

আগামী ১১ অগাস্টের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2021, 04:09 PM
Updated : 28 July 2021, 04:09 PM

বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত টিকা নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম-সচিব মিজানুর রহমান।

অন্যদিকে শিক্ষকরা আগেই টিকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

মহামারীর ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যে টিকা নেওয়ার দিনক্ষণ বেঁধে দিয়ে বুধবারের এই অফিস আদেশে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং এর আওতাধীন সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার পুরনো নির্দেশনা ১১ অগাস্টের মধ্যে সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।

এতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকা গ্রহণ করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা ১২ অগাস্টের মধ্যে অধিদপ্তরে পাঠাতেও বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে টিকা না নেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকাও পাঠাতে হবে।

যুগ্ম-সচিব মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাড়াতাড়ি টিকা নেওয়ার জন্য বলেছি। এখন যেহেতু টিকা এসেছে, পরবর্তীকালে যখন স্কুল খোলার সরকারি সিদ্ধান্ত হয়, তখন টিকা নিতে তো আমাদের প্রস্তুতি দরকার। এজন্য তালিকা চাচ্ছি।”

ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩ লক্ষাধিক লোকবল টিকা নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মিজানুর রহমান বলেন, “এখন তাড়াতাড়ি করছি। আমরা জোর না দিলে অনেকে আলসেমি করে। তারা যেন টিকা নেয় এবং প্রস্ততিটা যেন থাকে, এজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

এই কর্মকর্তা জানান, স্কুল খোলার সরকারি সিদ্ধান্ত হলে টিকা নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়বে। অনেক আগে থেকেই এমন নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। এখনও যারা বাকি রয়েছেন তারা যেন দ্রুত টিকা নেয়, সেজন্য নতুন করে তাগাদা দেওয়া হয়েছে।

দেশে গত বছর মার্চে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে স্কুল-কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

চলতি বছর ফেব্রুয়ারির পর মহামারীর প্রকোপ কিছুটা কমলে তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার অংশ হিসেবে তারিখও ঘোষণা করা হয়।

তবে মার্চ থেকে ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকলে স্কুল প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়। মহামারী নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের মধ্যে যথারীতি স্কুলও বন্ধ থাকছে।