অবসরে অপরাধের সাজা হিসেবে পেনশন বাতিলের বিধান বহাল

অবসরে থাকা সরকারি কর্মচারী অপরাধী সাব্যস্ত হলে শাস্তি হিসেবে তার পেনশন সুবিধা বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহারের বিধান রহিত করার প্রস্তাবে সায় দেয়নি মন্ত্রিসভা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2021, 12:50 PM
Updated : 26 July 2021, 12:58 PM

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মন্ত্রিসভার  বৈঠক হয়।

সেখানে এই প্রস্তাব ও আরও কয়েকটি সংশোধনীসহ ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০২১’ এর খসড়াটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়।

তবে পেনশন বাতিলের প্রস্তাবটি অনুমোদন পায়নি বলে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ৫১(৪) ধারায় আছে- ‘অবসর সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তি গুরুতর অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত বা কোনো গুরুতর অসদাচরণের দোষে দোষী সাব্যস্ত হইলে, কারণ দর্শাইবার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, তাহার অবসর সুবিধা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহার করিতে পারিবে।’

“এই ধারাটি বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কেবিনেট সেটা এগ্রি করেনি। কেবিনেট আগেরটিই বহাল রেখেছে।“

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়া ব্যক্তিদের অন্য কোথাও চাকরি করা কিংবা বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান বিধান পাল্টে সংশোধনী আইনে সরকারের অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছিল।

“এটাও ক্যাবিনেট এগ্রি করেনি। আগে যেটা ছিল সেটাই থাকবে। সরকার যদি কারো বিরুদ্ধে স্পেসিফিকেলি ব্যবস্থা নেয় তাহলে তা করতে পারবে।”

তবে আগের আইনে কিছু ‘করণিক’ ভুল ছিল, যেগুলো সংশোধিত আইনে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

সভায় বাংলাদেশ লিগ্যাল প্যাকটিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিনেন্স, ২০২১, এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “বার কাউন্সিল আইনে বার কাউন্সিল ৩১ মের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। তিন বছরের জন্য তাদের কমিটি হবে এবং সেই কমিটি তিন বছরের মধ্যে ৩১ মের মধ্যে নির্বাচন দেবে।

“কিন্তু মহামারীতে বা দুর্যোগ ইস্যু হলে সেক্ষেত্রে নির্বাচন না হলে কি করণীয় তা আইনে ছিল না। এখানে প্রস্তাব করা হয়েছে এক বছরের জন্য সরকার অ্যাডহক কমিটি করে দিতে পারবে এবং ১৫ সদস্যর এ কমটি ম্যাক্সিমাম এক বছর থাকতে পারবে এবং তারা এক বছরের মধ্যে নির্বাচন দেবে।”