সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী, পাঁচ বছর পরপর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেওয়ার কথা।
বিধিমালাটি বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে সম্প্রতি এ চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আলী আজম রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
সম্পদের হিসাব দিতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছি, সম্পদের হিসাব দেওয়া শুরু হবে। এরপর কেউ না দিলে অবশ্যই সময় বেঁধে দেওয়া হবে। আগামী মাসে এ সময়টা আমরা দিয়ে দেব।”
দুর্নীতি রোধে এই পদক্ষেপ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী তিনি।
“এটি নিশ্চিত হলে দুর্নীতি কমবে। প্রশাসনে দুর্নীতি রোধ এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য সরকারের নানা রকম উদ্যোগ রয়েছে। এই তাগিদের বিষয়টিও সেই উদ্যোগের অংশ।”
সচিবদের কাছে পাঠানো চিঠিতে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯–এর বিধি ১১, ১২ ও ১৩ তে সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর সম্পত্তি অর্জন, বিক্রয় ও সম্পদ বিবরণী দাখিলের বিষয়ে নির্দেশনা থাকার বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিধিগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রতিপালনের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলা হয়েছে।
সরকারি কর্মচারীদের জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট বা সম্পত্তি ক্রয় বা অর্জন ও বিক্রির অনুমতির জন্য আবেদনপত্রের নমুনা ফরম এবং বিদ্যমান সম্পদ বিবরণী দাখিলের ছক চিঠির সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।