শুক্রবার তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে একটি ফেরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে পিলারের তেমন ক্ষতি হয়নি।
“৪ হাজার টনের বেশি ধাক্কা সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে এসব পিলারের। ফেরিটি যদি আরো গতিতে ধাক্কা দিত তাহলে প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটতে পারতো।”
এ ধরণের ধাক্কা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, “সব কিছু পরিকল্পনা করেই এসব পিলার তৈরি করা হয়েছে। তেমন আতঙ্কের কোনো বিষয় এখানে নেই।”
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুরের বাংলাবাজারঘাট থেকে শিমুলিয়ায় আসার পথে ফেরি শাহ জালাল পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। ফেরিতে থাকা ৩৩টি যান একটি আরেকটির ওপর ধাক্কা দেয়।
এতে ফেরির সমানের অংশে বড় ধরনের ছিদ্র হয়ে যায়। ফেরির প্রায় দুই হাজার যাত্রীর অনেকেই আছড়ে পড়েন, যাদের অন্তত ২০ জন আহত হন।
সঠিকভাবে পরিচালনায় ‘ব্যর্থ হওয়ায়' ওই ফেরির ইনচার্জ ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার আব্দুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ ও যাত্রীরা জানান, বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া আসার পথে রো রো ফেরি শাহজালাল পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিলারে প্রচণ্ড ধাক্কা দেয়।
ফেরিটির মাস্টার আব্দুর রহমান বলেন, ইলেকট্রনিক সার্কিট ব্রেকার পড়ে যাওয়ায় স্টিয়ারিং বিকল হয়ে যায়। তবে দ্রুত ঠিক হলেও এর আগেই প্রবল স্রোতে ফেরিটির সমানের অংশের সঙ্গে পদ্মা সেতুর খুঁটির ধাক্কা লাগে।
“ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় যাত্রীরা। আঘাতটি পানির লেভেলের নিচে হলে ফেরিটি ডুবে যেত পারত।”
ইতিমধ্যে পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কার ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিসি।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে সংস্থার চেয়ারম্যান বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।