টার্মিনাল নেমে যানবাহন না পেয়ে কেউ পায়ে হেঁটে, কেউবা রিকশা বা ভ্যানে চেপে রওনা হয়েছেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। ভাগ্যবান যারা রিকশা বা ভ্যানে উঠতে পেরেছেন, তাদের দিতে হয়েছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া।
লকডাউনের প্রথম দিন সকালে রাজধানীর বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। কিন্তু পুরান ঢাকার সদরঘাটের সড়কে দেখা যায় রাতের লঞ্চে ঢাকায় আসা মানুষের মিছিল।
“ কী যে বিপদে পড়েছি ভাই, ঠেলাগাড়িও হাজার টাকা ভাড়া চায় রামপুরা যেতে। উপায়ান্ত না দেখে হাঁটা ধরেছি। দুই বার দুই জায়গায় একটু বিশ্রাম নিয়েছি। মালাসামানা মাথায় নিয়ে এভাবে আসতে আসতে হাঁপিয়ে গেছি।”
বিরক্তির সঙ্গে তিনি বললেন, “এমন হইলে কালকে লঞ্চ ছাড়ল কেন? আমরা কীভাবে যাব? জায়গায় জায়গায় পুলিশ আটকাইতেছে। কোনো কিছু শুনতে চায় না তারা।”
লকডাউনের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সকাল থেকে বসেছে চেকপোস্ট। ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করতেও দেখা গেছে অনেককে। একটু পর পর টহল দিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন বাহিনীর গাড়ি।
নিউ মার্কেট থানার পরিদর্শক মো.মনিরুল হক ডাবলু বললেন, “ আমরা পুরো এলাকা সিলগালা করে দিয়েছি। সকালে ঢাকার বাইরে থেকে এসেছেন এমন দুই একজনকে মানবিক দিক বিবেচনায় রিকশায় চলাচল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এই এলাকায় কোনো রিকশাও চলতে দেওয়া হবে না।”
ঈদ শেষে যারা ঢাকায় ফিরবেন, তাদের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, “যারা গেছে তারা থেকে আসুক ৫ অগাস্ট পর্যন্ত, কারণ সবকিছুই তো বন্ধ।”