ঈদের বিরতি শেষে ‘কঠোরতম লকডাউনে’ দেশ

বাংলাদেশের মানুষ ঈদ করবে বলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিত্যনতুন রেকর্ডের মধ্যেই লকডাউনে নয় দিনের বিরতি দিয়েছিল সরকার। সেই ছুটি শেষে আবার বিধিনিষেধ জারি হয়েছে সারা দেশে; জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর ভাষায় যা হবে ‘কঠোরতম’।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2021, 06:20 PM
Updated : 23 July 2021, 03:53 AM

এই লকডাউন নিশ্চিত করতে আগেরবারের মতই আইন শৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী। ‘অতি জরুরি’ প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হওয়া মানা।

শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে ৫ অগাস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত এবারের লকডাউন চলবে। ঈদের পর বিধি-নিষেধ আরোপ পিছিয়ে যেতে পারে বলে গুঞ্জন চললেও বৃহস্পতিবার তা নাকচ করে দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বিধি-নিষেধ শিথিলে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এখন কঠোর হওয়ার বিকল্প নেই।

“এ সময়ে সবচেয়ে কঠোরতম অবস্থানে আমরা থাকব। এছাড়া আমাদের উপায় নেই। কারণ ঈদের আগে মুভমেন্টটা বেশি হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এর বিকল্প নেই।”

ঈদের পরদিন শিমুলিয়া ঘাটে ছিল ঢাকামুখী মানুষের ভিড়

বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিমন্ত্রী যখন কথা বলছিলেন, তখন মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে চলছে ঢাকামুখী মানুষের স্রোত। ঈদের আগে যারা গ্রামে গিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীতে। আবার লকডাউন শুরুর আগে ঢাকা ছাড়ার জন্য গাবতলী বাস টার্মিনালেও কিছুটা ভিড় দেখা গেছে। 

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, “যারা গেছে তারা থেকে আসুক ৫ অগাস্ট পর্যন্ত, কারণ সবকিছুই তো বন্ধ।”

এবারের লকডাউনে সব অফিস আদালতের মত শিল্প কারখানাও বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি বন্ধ থাকবে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সব ধরনের যানবাহন।

সরকারি কর্মীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থেকে ডিজিটালি দাপ্তরিক কাজ সারতে বলা হয়েছে। আগেরবারের তুলনায় দুই ঘণ্টা সময় কমিয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

মহামারীর মধ্যে এখনই সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে বাংলাদেশ; কিন্তু কোরবানির ঈদের পরদিন বিকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকতে বেড়াতে আসা মানুষদের মুখে ছিল না মাস্ক।

মহামারীর দেড় বছরে এখনই সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থা চলছে বাংলাদেশে। করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে গত এপ্রিল থেকে রোগীর সংখ্যা বাড়ছিল। মে মাসে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও জুলাই মাসে এসে আগের সব রেকর্ড ভাঙছে।

জুন মাসে যেখানে ১ লাখ ১২ হাজার ৭১৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। জুলাইয়ের ২২ দিনেই তা সোয়া ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। জুনে ১ হাজার ৮৮৪ জনের মৃত্যুর বিপরীতে জুলাইয়ের ২২ দিনেই চার হাজারের বেশি মৃত্যু দেখতে হয়েছে দেশবাসীকে।

আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকায় বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে গত ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য সরকার সারা দেশে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে। পরে তা আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়।

ওই ১৪ দিনে বিধিনিষেধ ভাঙায় রাজধানীতে নয় হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু শেষ দিকে এসে মানুষকে আর সেভাবে আটকে রাখা যায়নি। জীবিকার তাড়নায় অনেকেই রাস্তায় বের হতে শুরু করেন, নিষেধ ভেঙে দোকান খুলতে শুরু করেন ছোটোখাটো ব্যবসায়ীরা।

কোরবানির ঈদের পরদিন বৃহস্পতিবার নানা বয়সী মানুষ ভিড় জমায় ঢাকার হাতিরঝিলে।

ওই পরিস্থিতিতে ঈদ উদযাপনে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সকল বিধিনিষেধ শিথিল করার ঘোষণা আসে। তখনই জানানো হয়, ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ অগাস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত আবারও বিধিনিষেধগুলো কার্যকর হবে।

সংক্রমণের ওই পরিস্থিতিতে লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত যে ভয়াবহ হতে পারে, সে বিষয়ে তখনই সতর্ক করেছিল কোভিড সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

ঈদের ছুটিতে নমুনা পরীক্ষা এক চতুর্থাংশে নেমে আসায় বৃহস্পতিবার এক মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছে, কিন্তু দৈনিক শনাক্তের হার পৌঁছেছে এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।

বৃহস্পতিবার আরও ১৮৭ জন কোভিড রোগীর মৃত্যুর খবর এসেছে, যা আগের দিনের চেয়ে বেশি।

২৩ জুলাই থেকে যা কিছু বন্ধ

>> সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে সরকারি কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলের এলাকায় অবস্থান করবেন এবং দাপ্তরিক কাজ ভার্চুয়ালি সম্পন্ন করবেন।

>> সব প্রকার শিল্প কারখানা বন্ধ থাকবে, যা আগে লকডাউনের মধ্যে খোলা রাখার অনুমতি ছিল।

>> সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন (অভ্যন্তরীণ বিমানসহ) সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

>> শপিংমল/মার্কেটসহ সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে।

>> সকল পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

>>  জনসমাবেশ হয় এই ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি) রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

যা কিছু খোলা

>> আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার৷ বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি) খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহণ, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া,  জাতীয় পরিচয় পত্র (এন আই ডি) প্রদান কার্যক্রম, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলী, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা (পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সড়কের বাতি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কার্যক্রম), সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালসহ অন্যান্য জরুরি/অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র দেখিয়ে চলাচল করতে পারবে।

>> জরুরি পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক, লরি, নৌযান, পণ্যবাহী রেল ও ফেরি এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না। ফেরিতে কেবল পণ‍্যবাহী গাড়ী ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা যাবে।

>> খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল কারখানা; কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ঔষধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প লকডাউনে খোলা থাকবে।

>> কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা-বেচা করা যাবে।

>> খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শুধু খাবার বিক্রি (অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে।

>> বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থল বন্দর এবং সংশ্লিষ্ট অফিস নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।

ঈদের আগের লকডাউনে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছিল তল্লাশি চৌকি

সাধারণ চলাচল

>> অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন /সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবে বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

>> তবে যারা করোনাভাইরাসের টিকার তারিখ পেয়েছেন, তারা টিকা কার্ড দেখিয়ে নির্ধারিত দিনে টিকাকেন্দ্রে যাতায়াত করতে পারবেন।

>> আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকবে এবং বিদেশগামী যাত্রীরা তাদের আন্তর্জাতিক ভ্রমনের টিকেট দেখিয়ে গাড়ি ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবেন।

অন্যান্য

>> বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকতার কার্যালয় খোলা রাখার বিষয়ে অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

>> ২৫ জুলাই থেকে ব্যাংকে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত। তবে লেনদেন পরবর্তী অন্যান্য কাজের জন্য ৩টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখা যাবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। 

>> বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

>> স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মসজিদে নামাজের বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্দেশ দেবে।

>> ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠ পর্যায়ে টহল নিশ্চিত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারেরর সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি  নিশ্চিত করবেন।

>> জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার নিয়োগ ও টহলের অধিক্ষেত্র , পদ্ধতি ও সময় নির্ধারণ করবেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় বিশেষ কোনো কার্যক্রমের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

>> জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যাক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক তার পক্ষে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেবে।

ঈদের ছুটি শেষে শুক্রবার ফের লকডাউন শুরু, তার আগে ঢাকা ছাড়তে বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে ভিড় ছিল বেশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাস যতক্ষণ একজন থেকে আরেকজনে ছড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে ততক্ষণ সংক্রমণ বাড়তেই থাকবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের একমাত্র উপায় হল চক্র ভাঙা, অর্থাৎ একজনকে আক্রান্ত করার পর ভাইরাস যেন তার থেকে আরেকজনকে সংক্রমিত করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করা। 

আর সেজন্যই সবাইকে টিকার আওতায় আনা দরকার। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত সমাজের বেশিরভাগ অংশকে টিকার আওতায় আনা না যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনের কোনো বিকল্প বিশেষজ্ঞরা দেখছেন  না। আর সেজন্য লকডাউনের বিধিনিষেধও সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করার ওপর জোর দিচ্ছেন তারা।

আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন মনে করেন, লকডাউনের বিধিনিষেধ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করে সচেতনতা ও সহায়তা বাড়ানো প্রয়োজন।

“যারা জীবিকার জন্য বাইরে যাচ্ছেন, তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। অনেকেই নিজের ঘরে আইসোলেটেড থাকতে পারছেন না, কারণ একই ঘরে অনেক মানুষ থাকেন। অনেকের ঘর নাই।

“তাদের জন্য কমিউনিটিতে আইসোলেশন কেন্দ্র, যেটাকে আমরা বলছি ফিল্ড হাসপাতাল বা অস্থায়ী থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। এভাবে আক্রান্তদের আলাদা করতে হবে।”

মহামারীতে মাকে হারিয়ে ছেলের কান্না।

আর দেশে নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়লেও মানুষের ‘অন্য ভয়ে’ পরীক্ষা করাতে চায় না মন্তব্য করে সেজন্য গ্রামে সহযোগিতা বাড়াতে বলছেন মুশতাক হোসেন।

“সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার ভয়ে অনেক টেস্ট করতেই আসছে না। মানুষ ভাবে, সে পজিটিভ হলে, তাকে বন্দি করে রেখে দেবে। ওই ভয়টা দূর হবে তখন, যখন সে সামাজিকভাবে সহায়তা পাবে।

“যদি দেখে পজিটিভ হলে সমাজ খাবার দেয়, কিছু লাগলে সেটার ব্যবস্থা করে, তাদের বের হতে হয় না, রোজগারের চিন্তা করতে হবে না- তখন মানুষ টেস্ট করাতে আগ্রহী হবে। শনাক্তও হবে, আইসোলেশনেও থাকবে, মেডিকেল অ্যাডভাইসও পাবে। তখন সংক্রমণটা বাড়বে না। মৃত্যুও কমবে।”