ঢাকা দক্ষিণে ৮ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ: তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রায় ৮ হাজার টন কোরবানির পশুর হাট ও  জবাইয়ের বর্জ্য অপসারণ করেছে বলে জানিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2021, 12:12 PM
Updated : 22 July 2021, 12:12 PM

বৃহস্পতিবার দুপুরে 'কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকিতে' নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।

বৃহস্পতিবারের মধ্যে কোরবানির পশু জবাই শেষ করার আহ্বান জানিয়ে ঢাকাবাসীর উদ্দেশ্যে তাপস বলেন, “আমাদের বিশাল জনবল নিরবিচ্ছিন্নভাবে এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম করে থাকে। তাদেরও ঈদ আছে, তাদের বিশ্রামেরও প্রয়োজন আছে। আমরা তাদেরকে একদিন ঈদের ছুটি দিতে চাই।

“নিতান্তই কেউ যদি আজকের মধ্যে কোরবানির পশু জবাই শেষ করতে না পারেন, তাহলে দয়া করে আপনারা আগামীকাল নিজ দায়িত্বে পশুর বর্জ্য নির্ধারিত ব্যাগে ভরে আপনার নিকটবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে রেখে আসুন।”

কোরবানির প্রথম দিনের পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র।

“আজকে যে সকল পশু জবাই করা হবে, সেসব পশুর বর্জ্য আমরা আগামী ১০ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ রাত বারোটার মধ্যে অপসারণ করব।”

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার টন কোরবানির পশুর ও হাটের বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলে আসা অপ্রত্যাশিত

তাপস বলেন, তিন দিন ধরে (২০ তারিখ রাত থেকে) সিটি করপোরেশনের জনবল কাজ করছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটানা কাজ করে চলেছে।

“বাস্তবতা হলো- আমরা একদিকে বর্জ্য অপসারণ করে আসি, এরপর লোকজন আবারও উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলে আসে। তাই শতভাগ বর্জ্য অপসারণের পরও কিছু কিছু জায়গায় আবারও বর্জ্য দেখা যায়। সেটা প্রত্যাশিত নয়।”

এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সবার সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

মেয়র বলেন, “আমরা যে ব্যাগ সরবরাহ করেছি, দয়া করে তা সংগ্রহ করুন এবং সেই ব্যগে ভরে আপনার পশুর বর্জ্য আমাদের বর্জ্য সংগ্রহকারীদের কাছে হস্তান্তর করুন। উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলবেন না।"  

চামড়া নিয়ে বিপাকে

মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা অনেক জায়গায় চামড়া ফেলে যাচ্ছেন বলে জানান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস।

তিনি বলেন, “একটা বিষয় আমরা লক্ষ্য করছি, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহ করেছেন। সেই চামড়াগুলো হয়তো তারা বিক্রি করতে পারেননি। আজ সকাল থেকে আমরা লক্ষ্য করছি, বিভিন্ন জায়গায় আমাদের নর্দমার সামনে, নর্দমার মুখে তারা সেই চামড়াগুলো ফেলে গেছেন। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ “

দক্ষিণের মেয়র বলেন, “আমি বারবার নিবেদন করেছি, কোনোভাবেই যেন আমাদের নালা-নর্দমাগুলো বন্ধ করা না হয়, এখানে বর্জ্য ফেলা না হয়। কারণ আমরা এখনো বর্ষাকালেই আছে। এই বর্জ্য দ্বারা কোন নালা-নর্দমা যেন বন্ধ না হয়ে যায়।”

ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিছুর রহমান সেখানে ছিলেন।