শনিবার দুপুরে আমজাদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কী আর কথা বলবো ভাই, সারা দিনে অন্তত এক হাজার মানুষ শুধু দামই জিজ্ঞাস করে।
“কেউ তো আর কিনছে না। যারা বাজারে আসে সবাই দাম জিজ্ঞাসা করে। গরু-ছাগল যে যাই কিনতে আসুক, উটের দাম জিজ্ঞাস করে যায়।”
উটটি ২০ লাখ টাকার উপরে বিক্রি করতে চাইছেন আমজাদ। কিন্তু ১৫ লাখের উপরে এখনও দাম ওঠেনি।
“আমি ২৫ লাখ টাকা চাই, ২২ লাখ টাকা হলেও ছেড়ে দেব। কেউ ১০ লাখ বলে, কেউ ১২ লাখ বলে, তিন-চারজন ১৫ লাখ বলে গেছে। দেখি কী হয়।”
আমজাদ আলী বিরক্ত হলেও তার ছেলে হাসেম আলী হাসিমুখে উটের দাম বলে যাচ্ছেন। আর তা উপভোগও করছেন তিনি।
হাসেম আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “চার দিন হল এই উটটা বাজারে উঠাইছি। দিনে অন্তত পক্ষে পাঁচশ জন উটের দাম জিগায়। শোনার পরে মুচকি হাসি দিয়া যায়গা।
“আমি জানি হেরা উট কিনতে হাটে আহে নাই। কিন্তু তারা দাম জিগায় আমি উত্তর দেই। এইটা ভালা লাগে আমার।”
তিনি জানান, বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা থেকে ২০১৭ সালে তার বাবা এটিসহ নয়টি উট কিনেছিলেন। পরের বছর চারটি উট গাবতলীতে বিক্রি করেন। গত কয়েক বছরে বিক্রি করে এবং একটি উট মারা যাওয়ার পর অবশিষ্ট উটটি এখন বাজারে তুলেছেন।
হাসেম বলেন, “এই উটের বয়স এখন সাত বছর। গোশত প্রায় ১০ মণ হবে।”
প্রতিদিন উটের জন্যে ৫০০ টাকার খাবার লাগে বলে জানান হাসেম। বুট, ভুষি ও ঘাস খাওয়ানো হয় একে।
উট মালিক আমজাদ হোসেনের বাড়ি গাবতলী গরুর হাটের পাশেই।
তিনি বলেন, “২০১৭ সালের পরে আর উট আমদানি করতে পারিনি। পাকিস্তান ও ভারতে উটের দাম অনেক কম। সেখান থেকে উট আমদানি করতে পারলে পাঁচ-ছয় লাখের মধ্যে বিক্রি করতে পারতাম।”
আমজাদ আলীর নিজের এগ্রো ফার্ম আছে। সেখানেই এই উট লালন পালন করে বড় করেছেন। দাম পেলে এই কোরবানির হাটেই উটটি বিক্রি করবেন। না হলে আবার খামারে ফেরত নিয়ে যাবেন।