পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হওয়ার ডাক পেয়েছেন শামসুল আলম

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার ডাক পেয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের সদ্য সাবেক সদস্য কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. শামসুল আলম।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2021, 07:24 AM
Updated : 16 July 2021, 07:59 AM

রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠান হবে বলে বিডিনিউজ টোয়ন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন তিনি।

শামসুল আলম শুক্রবার টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়ন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মন্ত্রিপরিষদ সচিব আমাকে ফোন করে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। আগামী রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছেন।”

ওই অনুষ্ঠানে আর কেউ শপথ নেবেন কি না, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি সরকারের এই হবু প্রতিমন্ত্রী।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা এখনও দেওয়া হয়নি। তবে রোববার শপথ অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতির বিষয়টি বঙ্গভবনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়ন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় এখন মন্ত্রী আছেন ২৫ জন। এছাড়া ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্ব পালন করছেন।

সর্বশেষ গত বছরের ২৪ নভেম্বর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. ফরিদুল হক খান দুলাল। পরদিন তাকে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

শামসুল আলমের শপথের মধ্য দিয়ে প্রতিমন্ত্রীর সংখ্যা আরও একজন বাড়বে। সংসদ সদস্য না হওয়ায় তিনি মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন টেকনোক্র্যাট হিসেবে।

গত এক যুগ ধরে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা শামসুল আলমের মেয়াদ শেষ হয় গত ৩০ জুন।

এর আগে ১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন এই কৃষি অর্থনীতিবিদ। ২০০৯ সালের ১ জুলাই প্রেষণে তাকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য করা হয়।

সেই দায়িত্বে থেকে তিনি ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি), শতবর্ষের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন।

২০১৫ সালে কমিশনের সদস্য থাকা অবস্থায় তাকে জ্যেষ্ঠ সচিব করা হয়। পরের বছর তিনি অধ্যাপনা থেকে অবসরে যান। তবে কমিশনের সদস্য হিসেবে তার মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়।

১৯৫১ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন শামসুল আলম। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বর্তমান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে ১৯৬৫ সালে তিনি কৃষি অর্থনীতিতে স্নাতক এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতকোত্তর করেন।

১৯৮৩ সালে ব্যাংককের থাম্মাসাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ও ১৯৯১ সালে ইংল্যান্ডের নিউ ক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন শামসুল আলম।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাকাল্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শামসুল আলম ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচিতে কনসালটেন্ট হিসেবেও কাজ করেছেন।

অর্থনীতি বিষয়ে শামসুল আলমের ১২টি বই প্রকাশিত হয়েছে, এর মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক হিসেবেও অন্তর্ভুক্ত।

কৃষি অর্থনীতিতে অবদানের জন্য ২০২০ সালে সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।