কোভিড: লকডাউন শিথিলে উদ্বেগ, ১৪ দিন বাড়ানোর সুপারিশ জাতীয় কমিটির

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকা অবস্থায় লকডাউন শিথিলের সরকারি সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়ে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি কঠোর বিধিনিষেধ আরও ১৪ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2021, 06:28 PM
Updated : 14 July 2021, 06:51 PM

একই সঙ্গে কোরবানির পশুর হাট বন্ধ রেখে, প্রয়োজনে ডিজিটাল হাট পরিচালনার ব্যবস্থা করতে পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় কমিটি।

সোমবার রাতে হওয়া জাতীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে বুধবার।

কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহর স্বাক্ষরে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে।

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৪১তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এর আগে জাতীয় কারিগরি এই কমিটির সুপারিশের পর সরকার ১ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।

ঈদের আগে বৃহস্পতিবার থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সর্বাত্মক এই লকডাউন এক সপ্তাহ শিথিল করে সরকার। সরকারি ঘোষণার দুদিন পর কমিটি তাদের পরামর্শ জানাল।

এর আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণের অতি বিস্তারের মধ্যে লকডাউন তুলে নেওয়ায় পরিস্থিতি জটিল রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও।

করোনভাইরাস মহামারী ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় মধ্যে লকডাউনের দ্বাদশ দিন সোমবার ঢাকার প্রগতি সরণি ছিল রিকশার দখলে। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন নিয়মিত বুলেটিনে বলেন, “স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মনে করে, এই বিধিনিষেধ শিথিল করা সাপেক্ষে আমাদের সংক্রমণ বৃদ্ধি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।”

এদিকে জাতীয় কারিগরি কমিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সরকার লকডাউন শিথিল করে সীমিত পরিসরে কোরবানির হাট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিলেও কিছু বিধিনিষেধ প্রয়োগের সুপারিশ করেছে কমিটি।

শহর এলাকায় কোরবানির পশুর হাট বসার অনুমতি না দেয়ার সুপারিশ তাদের।

কমিটি বলছে, শারীরিক দূরত্ব এবং অন্যান্য স্বাস্থবিধি বজায় রেখে উন্মুক্ত স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।

এক্ষেত্রে বয়স্ক ব্যক্তি (৫০ বছর বা তার বেশি) এবং অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির কোরবানির হাটে না যাওয়া, হাটে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য নির্দিষ্টভাবে আলাদা পথ রাখা, বাজারে আসা সবার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

এছাড়া এবারের ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে না গিয়ে, যে যেখানে আছেন সেখানে অবস্থান করার বিষয়ে জনগণকে উৎসাহিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এই পরামর্শক কমিটি।

আরও পড়ুন