মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম ইয়াসির আহসান চৌধুরী শুনানি শেষে তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
একইসঙ্গে অপর তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন—হেলাল খান, আনোয়ার হোসেন ও ইসরাফিল আমিন।
এদিন পাঁচ আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে আসামি রহিম শেখ ও তার স্ত্রী ফাতেমাকে ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম।
একই সঙ্গে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপর তিন আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান।
গত সোমবার ঢাকার বাড্ডায় জাল নোট তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ, যেখানে এই দম্পতি মিলেমিশে মাসে কোটি কোটি টাকা মূল্যের নোট তৈরি করত।
আর একহাজার টাকার ১০০ জাল নোটের বান্ডেল তারা পাইকারিতে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করত বলে পুলিশের ভাষ্য।
বাড্ডার নুরের চালা সাঈদ নগরের একটি সাততলা বাড়ির ষষ্ঠ তলায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল নোট উদ্ধার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ।
সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আব্দুর রহিম শেখ, তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম, হেলাল খান, আনোয়ার হোসেন ও ইসরাফিল আমিনকে।