রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমানের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে এই দম্পত্তিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে শাহবাগ থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন তাদের আদালতে হাজির করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশের আবেদনে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ১২ বছর বয়সী শিশু গৃহকর্মীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দেখে জাতীয় জরুরি সেবায় (৯৯৯ নম্বরে) জানানো হয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং ঘটনার বিস্তারিত জেনে জড়িতদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করে।
শনিবার রাতে আসামিদের নাহিদের বাবার বাসা থেকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে মেয়েটি তাদের বাসার কাজ করত।
নির্যাতিত শিশুটির পরিবারকে এই ঘটনা জানানো হয়েছে। তার অভিভাবকের অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আসামিদের কারাগারে আটক রাখার বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীরের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত ওই দম্পত্তির জামিন নামঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তার তানভির একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার স্ত্রী নাহিদ একজন আইনজীবী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার নবাবপুর গ্রামে। নয় মাস ধরে সে ওই দম্পতির বাসায় কাজ করছিল।
শনিবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “প্রায় প্রতিদিনই ‘নানা অজুহাতে’ গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী মেয়েটিকে ‘মারধর’ করত। নির্যাতনে মেয়েটির শরীরে জখমের চিহ্নসহ কিছু ছবি শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন এক প্রতিবেশী।
জাতীয় জরুরি সেবায় (৯৯৯ নম্বরে) ফোন করেও এই বিষয়ে জানানো হয়। পরে পুলিশ রাতেই তাদের গ্রেপ্তার করে।