হুমায়ূন আহমেদের আঁকা ছবি আত্মসাতের অভিযোগে শাওনের মামলা

যুক্তরাষ্ট্রে বসে হুমায়ূন আহমেদের আঁকা চারটি ছবি আত্মসাতের অভিযোগে দুজনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা করেছেন প্রয়াত এই লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2021, 06:30 PM
Updated : 29 June 2021, 06:30 PM

মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি।

বিচারক বাদীর জবানবন্দি নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে আগামী ২৯ অগাস্ট প্রতিবেদন দিতে বলেছেন বলে আদালতের পেশকার তৌহিদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

মামলায় শাওন আসামি করেছেন মুক্তধারা প্রকাশনী যুক্তরাষ্ট্রের কর্ণধার বিশ্বজিৎ সাহার সাবেক স্ত্রী রুমা চৌধুরী এবং মঞ্জুরুল আজিম পলাশ নামে আরেকজনকে।

মামলার আরজিতে বিশ্বজিৎ সাহার নাম এলেও আসামির তালিকায় তাকে রাখা হয়নি।

ক্যান্সারাক্রান্ত হুমায়ূন ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা নেওয়ার সময় সেখানেই ছেলে নিষাদকে নিয়ে ২৪টি ছবি এঁকেছিলেন বলে শাওন জানান। ওই বছরের ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় মারা যান তিনি।

মামলায় আরজিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় বিশ্বজিৎ ও তার তৎকালীন স্ত্রী রুমার সঙ্গে হুমায়ূনের ঘনিষ্ঠতা হয়। তখন হুমায়ূন তার আঁকা ২৪টি ছবি প্রদর্শনী আয়োজনের জন্য ওই বছরের জুন মাসে দিয়েছিলেন।

হুমায়ূনের মৃত্যুর পর অভিনেত্রী শাওন সন্তানসহ দেশে ফিরে আসেন। এরপর ছবিগুলো ফেরত চাইলে বিশ্বজিৎ ও রুমা টালবাহানা শুরু করেন বলে দাবি করেন শাওন।

আরজিতে তিনি বলেন, তৎকালীন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের সহযোগিতায় রুমা তার সাবেক স্বামী বিশ্বজিৎকে দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের মা আয়েশা ফয়েজের মিরপুরের পল্লবীর বাসায় ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ২০টি ছবি ফেরত পাঠালেও চারটি ছবি ফেরত পাওয়া যায়নি।

শাওন আরজিতে বলেন, বিশ্বজিতের বিচ্ছেদ হওয়ার পর রুমা পলাশের সঙ্গে বসবাসের উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের কুমিল্লায় চলে আসেন। পলাশ গত ৩১ মার্চে তার ফেইসবুক পাতায় কুমিল্লায় একটি প্রদর্শনীতে হুমায়ূন আহমেদের আঁকা ছবি প্রদর্শনের ঘোষণা দেন, সেখানে ‘আত্মসাৎ করা’ ছবি রয়েছে।

ছবিগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরে শাওন বলেছেন, এগুলো হুমায়ূন আহমেদের জীবনের শেষ দিনগুলোতে তার সঙ্গে নিষাদের কাটানো সময়ের স্মৃতিবিজড়িত। আসামিদের কাছ থেকে ছবিগুলো উদ্ধার করা না গেলে তা বেহাত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত বা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এতে শুধু প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের পরিবারই নয়, দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হবে।

এই অভিযোগের বিষয়ে রুমা কিংবা পলাশের কোনো বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।