অর্থ আত্মসাৎ: বাংকোর চেয়ারম্যান মুহিত গ্রেপ্তার, দুদকের মামলা

গ্রাহকদের ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্রোকারেজ হাউজ বাংকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিত ও ছয় পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2021, 03:22 PM
Updated : 29 June 2021, 04:01 PM

মঙ্গলবার বিকেলে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী মামলাটি করেন বলে জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানিয়েছেন।

এর আগে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে সকালে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে করে দেশ ছাড়ার চেষ্টার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আব্দুল মুহিতকে আটকে দেওয়া।

তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হবে জানিয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মুহিতকে রমনা থানা হাজতে রাখা হয়েছে।”

দুদকের মামলার অপর আসামিরা হলেন- পরিচালক শফিউল আজম, ওয়ালিউল হাসান চৌধুরী, নুরুল ঈশান সাদাত, এ. মুনিম চৌধুরী ও জামিল আহমেদ চৌধুরী।

এজাহারে বলা হয়, “গত ৬ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত সময়ে বাংকো সিকিউরিটিজ লিমিটেড সিকিউরিটি আইন কানুন লঙ্ঘনের মাধ্যমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের (ডিএসই) লেনদেন নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হয়। এরপর তৎক্ষণাৎ ডিএসইর কর্মকর্তারা গত ৭ জুন উক্ত কোম্পানি বিশেষ পরিদর্শন করে সম্মিলিত গ্রাহক একাউন্টে ৬ ‍জুন ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ টাকার ঘাটতি লক্ষ্য করেন।”

এজাহারে আরও বলা হয়, “বাংকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের মালিক পক্ষ বিনিয়োগকারীদের বিপুল পরিমাণ (উল্লিখিত) অর্থ ও শেয়ার আত্মসাৎ করেছে এবং তা সমন্বয় না করে দেশ হতে সংশ্লিষ্টদের পলায়নের সম্ভাবনা রয়েছে।”

এরপর এ বিষয়ে ঢাকা স্টক একচেঞ্জ লিমিটেডের নির্বাহী মো. আল-মাসুদ মতিঝিল থানায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জানায়।

পরে মতিঝিল থানা পুলিশ অভিযোগটি দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় তা এজাহার হিসেবে রেকর্ড না করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) গ্রহণ করে গত ১৪ জুন পরবর্তি কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে কমিশনে পাঠিয়ে দেয়।

এরপর কমিশন এ বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে মঙ্গলবার মামলা করে।

এদিকে বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত হিসাবের ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৫ জুন বাংকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ডিএসই।