গত ৯ মার্চ ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করলেও মঙ্গলবার জানা যায়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের অন্যতম আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আাদালতে যাবেন বলে ভাচুয়াল কোর্ট চলার সময়ই তিনি জামিন আদেশের সত্যায়িত কপির (সইমুহুরি নকল) জন্য আবেদন করেছেন । কিন্তু এখনও তা হাতে পাননি।
আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেনের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে ‘অসুস্থতা দেখিয়ে’ মানবিক কারণে কাজী আনিস জামিন আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে মীর আহম্মেদ আলী সালাম আপত্তি জানান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত কাজী আনিসুরকে জামিনের আদেশ দেন।
১২ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ৯২০ টাকার অবৈধ সম্পদ জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা করেন কমিশনের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
ওইদিন কাজী আনিছের স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে এক কোটি ৩১ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকার অবৈধ সম্পদ জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জনের অভিযোগেও মামলা দায়ের করেন গুলশান আনোয়ার প্রধান।
মামলাটি তদন্ত করে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করেন একই কর্মকর্তা। মামলাটি দুটি অভিযোপত্র আমলে নেওয়ার পর্যায়ে রয়েছে।
দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগ জানিয়েছে, সুমি রহমানও আত্মসমর্পণ করে গত বছরের ২৬ নভেম্বর জামিন নেন।