গ্রেপ্তাররা হলেন- নদী আক্তার ওরফে ইতি ওরফে নুরজাহান ওরফে জয়া (২৮), আল আমিন হোসেন (২৮), সাইফুল ইসলাম (২৮), আমিরুল ইসলাম (৩০), পলক মণ্ডল (২৬), তারিকুল ইসলাম (২৬), বিনাশ শিকদার (৩৩)।
সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যশোরের শার্শা থানার পাঁচভূলট, বেনাপোল থানার পুটখালি এবং নড়াইলের শহরের ডহর রামসিদ্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার তাদের ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশের আবেদনে মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার প্রত্যেককে চার দিনের রিমান্ডে পাঠান।
তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছিলেন।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী সিরাজুল ইসলামসহ কয়েকজন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তবে তা প্রত্যাখ্যাত হয়।
এর আগে তেজগাঁও বিভাগের পুলিশের উপ-কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “ভারতে নারী পাচারকারী টিকটক হৃদয় বাবুর সঙ্গে গ্রেপ্তার নদীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। তারা দীর্ঘদিন ধরে নারীপাচারের সঙ্গে জড়িত। নদী শুধু ভারতে নয়, মালয়েশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতেও নারীপাচারের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে।”
ভারতের বেঙ্গালুরুতে সম্প্রতি বাংলাদেশের এক তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। শারীরিক নির্যাতনের সময় ২২ বছরের ওই তরুণীকে দল বেঁধে ধর্ষণও করা হয় বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
ওই ঘটনায় ভারতের বেঙ্গালুরু পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে ‘টিকটক হৃদয় বাবু’সহ দুজন পালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হয় বলে জানায় ভারতের পুলিশ।
সংবাদ সম্মলেনে পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ জানান, এ ঘটনা উদঘাটনের পর একাধিক নারী ভারত থেকে পালিয়ে এসে মামলা করেন। একের পর এক বেরিয়ে আসে নারী পাচারের ঘটনা। পাচারকারী হিসেবে উঠে আসে নদীর নাম।
গ্রেপ্তার সাতজনকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি।
তাদের কাছ থেকে পাসপোর্ট, ভারতের আধার কার্ড, মোবাইল ফোন, ভারতের সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।