২০২১-২২ অর্থ বছরের জন্য ৮৩১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। ২৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে তা উপস্থাপন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর।
২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য ৮৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বাজেট প্রণয়ন করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যা টাকার অঙ্কে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড়। ওই অর্থবছরের তুলনায় এবার ৩৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা কম বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য ৮৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বাজেট প্রণয়ন করা হলে করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতিতে ব্যয় কম হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে সেটা ৭৭৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রিভাইজ্ড বাজেট অনুযায়ী এবার বাজেটে বরাদ্দ দিয়েছে ইউজিসি। যার কারণে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে বরাদ্দ কমেছে। তাছাড়া ইউজিসি দাবি করছে, সরকার এবার সব জায়গায় ১০ শতাংশ করে বরাদ্দ কমিয়েছে। কেননা জাতীয় বাজেটে বিশাল ঘাটতি। এটা তাদের ব্যাখ্যা।“
এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৩১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার প্রস্তাবিত বাজেটের আয়ের উৎস সম্পর্কে কোষাধ্যক্ষ বলেন বলেন,“বিশ্ববিদ্যালেয় মঞ্জুরি কমিশন দেবে ৬৯৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ৮৩.৭৪ শতাংশ। আর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৬৫ কোটি টাকা আদায় হবে বলে আমাদের আশা।
“এটা কমও হতে পারে। কারণ শিক্ষার্থীরা যদি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আবাসন ও পরিবহন ফি না দেয়, তাহলে সেখানে ৫ কোটি টাকা কমে যাবে। গতবার ছিল ৭১ কোটি, কিন্তু সংশোধিত বাজেটে সেটা হয়েছে ৬০ কোটি।”
এবার প্রস্তাবিত মোট বাজেটে ৭০ কোটি ২৫ লাখ টাকা বা ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ ঘাটতি থেকে যাবে বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, এ বছর ৮৩১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা প্রস্তাবিত বাজেটের ২৬৪ কোটি টাকা শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন, ২২৪ কোটি টাকা ভাতা, পণ্য ও সেবায় খাতে ১৬৮ কোটি টাকা, পেনশন বাবদ ১২২ কোটি টাকা, গবেষণামঞ্জুরি হিসেবে ১১ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। গত বছর ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা গবেষণামঞ্জুরি হিসেবে দেওয়া হলেও এবার ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
গবেষণাগারের সরঞ্জামাদির জন্য ৬ কোটি ৫ লাখ টাকা, শিক্ষা ও শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ে ৫ কোটি টাকা, বিভাগীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ২ কোটি টাকা, রাসায়নিক দ্রব্যাদি ক্রয়ের জন্য আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষকদের গবেষণা ভাতা ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ২০ কোটি থাকার থোক বরাদ্দ রয়েছে বলে জানা যায়।