করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে এসব জেলায় কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপের পর রেল বিভাগ ও বিআইডব্লিউটিএ একথা জানিয়েছে।
জেলাগুলো হল- মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত এই সাত জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর হবে বলে বিকালে জানায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এরপর বিআইডব্লিউটিএ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঢাকা-মাদারীপুর, ঢাকা-মিরকাদিম, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, শিমুলিয়া (মুন্সীগঞ্জ)-বাংলাবাজার (মাদারীপুর), মাঝিকান্দি (শরীয়তপুর), আরিচা (মানিকগঞ্জ)-কাজিরহাট, পাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)-দৌলতদিয়া (রাজবাড়ী) নৌপথে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, দেশের অন্যান্য জেলা থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী নৌযান মাদারীপুর, পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া, আরিচা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মিরকাদিম লঞ্চঘাটে ভিড়তে পারবে না।
পণ্য পরিবহন এবং জরুরি সেবা প্রদানকারী নৌযানের ক্ষেত্রে এই আদেশ কার্যকর হবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যে সাত জেলায় লকডাউন করা হয়েছে, সেসব জেলায় রেলস্টেশন থাকলে সেখানে ট্রেন থামবে না। সেখান থেকে কোন যাত্রী উঠেবে না নামবেও না এবং ওইসব এলাকা ট্রেনগুলো সরাসরি অতিক্রম করে চলে যাবে। লকডাউন করা জেলাগুলোতে সরাসরি কোনো ট্রেন চালু থাকলে সেসব জেলায় ট্রেনও যাবে না।”
বিধিনিষেধের সময়ে এই সাত জেলায় সার্বিক কার্যাবলি/চলাচল (জনসাধারণের চলাচলসহ) বন্ধ থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, “সব বন্ধ থাকবে। মানুষও যাতায়াত করতে পারবে না। শুধুমাত্র মালবাহী ট্রাক এবং অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কিছু চলবে না। জেলাগুলো ব্লকড থাকবে, কেউ ঢুকতে পারবে না।”
এসব জেলায় সরকারি অফিসগুলো কীভাবে চলবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “জরুরি সেবা ছাড়া সব কিছুই বন্ধ থাকবে।”
বর্তমানে সাতক্ষীরা, বাগেরহাটের মোংলা, যশোর পৌরসভা, অভয়নগর, বেনাপোল, শার্শা, কুষ্টিয়া সদর, চুয়াডাঙ্গা, দামুরহুদা, পুরো মাগুরা, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, নাটোর পৌরসভা ও সিংড়া এবং বগুড়া পৌরসভায় একই ধরনের বিধিনিষেধ চলছে।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউয়ের প্রেক্ষাপটে গত ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়, যা ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন নামে পরিচিতি পায়।
এরপর মে মাসে সংক্রমণ কিছুটা কমে এলে বেশি কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। তবে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে জুনের শুরুতে দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু আবার বাড়তে থাকে।