হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: দণ্ডিত ৭ জনের জামিন স্থগিতই থাকছে

দেড় যুগ আগে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দণ্ডপ্রাপ্ত সাতজনকে দেওয়া জামিন স্থগিতের আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2021, 09:47 AM
Updated : 21 June 2021, 01:59 PM

হাই কোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) নিষ্পত্তি করে সোমবার এ আদেশ দিয়েছে বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এর আগে হাই কোর্টের দেওয়া দণ্ডিত এই সাত আসামির জামিন চেম্বার আদালত স্থগিত করে আমাদের আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য রেখেছিলেন।

“এই সময়ের মধ্যে আমরা হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করি। সেটি নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন। সেই সাথে জেলা দাদয়রা জজ আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করার জন্য।”

এর আগে গত ২৭ মে আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার আদালত এই সাত আসামির জামিন স্থগিত করেছিল।

দণ্ডপ্রাপ্ত ১৮ জনের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৫ মে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাই কোর্ট বেঞ্চ সাতজনকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিল।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আইনজীবী আবদুস সাত্তার, আব্দুস সামাদ, গোলাম রসুল, জহুরুল ইসলাম, রাকিব, শাহাবুদ্দিন ও মো. মনিরুল ইসলামকে চার মাসের জামিন দেওয়া হয় হাই কোর্টের ওই আদেশে। বাকিদের বিষয়ে পরে আদেশ হওয়ার কথা ছিল।

এ মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে আবদুস সাত্তার ও আব্দুস সামাদের সাড়ে চার বছরের সাজা হয়েছে। আর গোলাম রসুল, জহুরুল ইসলাম, রাকিব, শাহাবুদ্দিন ও মো. মনিরুল ইসলামের সাজা হয়েছে চার বছর করে।

ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ অগাস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

সড়ক পথে ঢাকায় ফেরার সময় কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলা হয়। বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়।

শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাসহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকরা আহত হন সেদিন।

সে সময় হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা করা হয়। দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবীর গত ৪ ফেব্রুয়ারি হত্যাচেষ্টার মামলায় বিএনপির সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।