আড়াই মাস পর নিম্ন আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচার

মহামারীকালের বিধি-নিষেধের কারণে আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর দেশের সব অধস্তন আদালতে বিচারকাজ শুরু হল শারীরিক উপস্থিতিতে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2021, 04:06 PM
Updated : 20 June 2021, 04:07 PM

মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে গত ৫ এপ্রিল থেকে আদালতের স্বাভাবিক বিচারকাজ বন্ধ হয়েছিল। এরপর আদালত চলছিল ভার্চুয়ালি।

মাঝে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও গত কয়েক দিনে পরিস্থিতির আবার অবনতি হচ্ছে।

তবে সরকার সব অফিস খোলার নির্দেশনা দেওয়ার পর শনিবার রাতে আদালতের স্বাভাবিক কাজ (শারীরিক উপস্থিতিতে) চালানোর সিদ্ধান্ত আসে প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে।

রোববার থেকে সব আদালত পুরোদমে খুললেও যেসব এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধি-নিষেধ আরোপ করা রয়েছে, সেসব এলাকায় ভার্চুয়ালি বিচার কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আরেক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেওয়ানী ও ফৌজদারি মামলায় যে ক্ষেত্রে আদালতে পক্ষগণের উপস্থিতির আবশ্যকতা নেই সেক্ষেত্রে পক্ষগণের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী আদালতে হাজিরা দাখিল করবেন।

জামিন শুনানি এবং আমলি আদালতে নির্ধারিত তারিখে হাজিরার জন্য কারাগারে থাকা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কারাগার হতে প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনোভাবে আদালত প্রাঙ্গণে বা এজলাসে কক্ষে হাজির করার আবশ্যকতা থাকছে না।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন অধস্তন আদালতের বিচারিক কর্মঘণ্টাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে।

বিচারিক কর্মঘণ্টার প্রথম ভাগে (সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা) সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক/আপিল/রিভিশন/রিভিউ শুনানি এবং দ্বিতীয় ভাগে (বেলা ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা)জামিন সংক্রান্ত বিবিধ মামলা, জামিনের দরখাস্ত ও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তসহ অন্যান্য দরখাস্তের শুনানি হবে।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিস্তার ঠেকাতে সরকার প্রথম দফায় গত ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে শপিং মল, দোকান-পাট, হোটেল-রেস্তারাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

ওইদিন রাতেই সীমিত পরিসরে দেশের আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত আসে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছ থেকে।