ডিবি কার্যালয়ে পরীমনি

পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে চিত্রনায়িকা পরীমনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে গেছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2021, 09:49 AM
Updated : 15 June 2021, 12:10 PM

মঙ্গলবার বিকাল চারটার একটু আগে তিনি রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে পৌঁছান।

গোয়েন্দা পুলিশের এই কার্যালয়ে ঢোকার পর পরীমনিকে নিয়ে যাওয়া হয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদের কক্ষে।

সেখানে আরও উপস্থিত আছেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার ও মহানগর পুলিশের গুলশান জোনের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলে অন্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে পরীমনির সঙ্গে কথা বলার জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে ডিবি কার্যালয়ে আসতে বলেন।

তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি বিকাল তিনটার আগে বনানী বাসা থেকে মিন্টো রোডের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

মঙ্গলবার সোয়া তিনটার দিকে পরীমনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বাসা থেকে ডিবি কার্যালয়ের দিকে রওনা হওয়ার কথা জানান।

চারটার কিছু আগে তিনি সেখানে পৌঁছান।

ডিবি কার্যালয়ে এই চিত্রনায়িকার সঙ্গে রয়েছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী ও পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জিমি।

নাসির উদ্দিন মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পরীমনি সোমবার সাভার থানায় একটি মামলা করে।

মঙ্গলবার এই মামলার পাঁচ আসামিকে আদালতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের সাত দিনের হেফাজত পেয়েছে পুলিশ।

এর আগে পরীমনিকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে গুলশান বিভাগের পুলিশের উপ কমিশনার মশিউর রহমান জানান, মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়ার জন্য পরীমনিকে আসতে বলা হয়েছে।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনার (পরীমনি) সঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কথা বলবেন, অনেক কিছু জানতে চাইবেন। তাই আসতে বলেছি-যদি আসেন!”

পরীমনির মামলার পর সোমবারই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ নাসির ও অমিসহ আরও তিন নারীকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে। সে সময় ওই বাসা থেকে মদ ও ইয়াবা উদ্ধারের কথা জানায় গোয়েন্দা পুলিশ।   

পরে সোমবার মধ্যরাতে বিমানবন্দর থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলাটি দায়ের করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের এসআই মানিক কুমার শিকদার।

প্রথমে ফেইসবুকে এবং পরে বনানীতে নিজের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে পরীমনি অভিযোগ করেন, গত ৮ জুন রাতে অমি তাকে তুরাগ নদীর তীরে ঢাকা বোট ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে নাসির তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন