অভিযোগপত্রে রাখা হয়েছে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ ও সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের নাম।
নূরের সঙ্গে অভিযোগপত্রে অব্যাহতি দেওয়া অন্য আসামিরা হলেন- ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং বিশ্ববিদালয়ের ছাত্র আবদুল্লাহ হিল বাকি।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আাদালতে গত বৃহস্পতিবার অভিযোগপত্র জমা পড়লেও গত রোববার সেটি আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন শাখার ডেসপ্যাচ সেকশনে আসে, যা সোমবার জানা যায়।
অব্যাহতি পাওয়া নাজমুল হুদা ও সাইফুল ইসলামের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নূরসহ চারজনের বিরুদ্ধে তথ্যউপাত্ত মামলা প্রমাণের পক্ষে পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তাদেরসহ আমার মক্কেলদেরকে অব্যাহতির সুপারিশ রাখা হয়েছে।
“অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে বাদীর নারজী দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমার মক্কেলদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে বাদী শিক্ষাথীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়েছেন। কিন্তু ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার কোনো অভিযোগ ছিল না। কোনো স্ক্রিনশটও মামলার সঙ্গে ছিল না।”
পরদিন ধর্ষণ ও সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে চরিত্র হননের অভিযোগে কোতোয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করেন তিনি। এই মামলায়ও ওই ছয়জনকে আসামি করা হয়, তবে প্রধান আসামি করা হয় নাজমুল হাসান সোহাগকে।
ওই ছাত্রীর অভিযোগ, একই বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী হওয়ায় এই পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের সঙ্গে তার ‘প্রেমের সম্পর্ক’ হয়। সেই সম্পর্কের জের ধরে ৩ জানুয়ারি লালবাগের বাসায় নিয়ে তাকে ‘ধর্ষণ করেন’ মামুন। তখন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ তার পাশে দাঁড়ান। চিকিৎসায় সহায়তা করার পর মামুনকে খুঁজে পেতে সাহায্যের কথা বলে চাঁদপুরে নিয়ে ফেরার পথে নাজমুল সোহাগও লঞ্চের মধ্যে তাকে ‘ধর্ষণ করেন’। পরে ঘটনার প্রতিকার চেয়ে তিনি নূরসহ তাদের অপর সহকর্মীদের কাছে গেলে প্রথমে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও পরে ‘বাড়াবাড়ি করলে চরিত্রহননের’ ভয় দেখান।