নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ডে ১০টি টাগবোটের নির্মাণ শুরু

ড্রেজার ও অন্যান্য নৌযান দেশের বিভিন্ন জলপথে টেনে নিয়ে যেতে নৌবাহিনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডে (ডিইডব্লিউ) ১০টি টাগবোট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 June 2021, 01:26 PM
Updated : 12 June 2021, 01:26 PM

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনাকান্দায় ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসে এসব টাগবোটের নির্মাণ কাজের (কিল লেয়িং) উদ্বোধন করেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিটি টাগবোটের ওজন ১২ টন। এজন্য মোট ব্যয় হবে ১৬৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

এগুলো ছাড়া আরও সাতটি টাগবোট সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ জন্য ব্যয় হবে প্রায় ৯৮ কোটি টাকা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বিআইডব্লিউটিএ এর বাস্তবায়নাধীন '৩৫টি ড্রেজার ও সহায়ক জলযানসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ' শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১০টি বোলার্ড পুলের টাগবোট নির্মাণ করা হচ্ছে।

উদ্বোধন অনুষ্টানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “নদীপথ রক্ষার বিষয়টি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালেই অনুভব করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু নৌপথ খননের লক্ষ্যে সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। এরপর ২০০৮ সাল পর্যন্ত কোনো সরকার ড্রেজার সংগ্রহ করেনি।

“প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গত ১০ বছরে ৩৪টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে, আরও ৩৫টি সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।“

তিনি বলেন, সরকার ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে সহকারী নৌপ্রধান (ম‍্যাটেরিয়েল) রিয়ার এডমিরাল এম শফিউল আজম, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এস এম মনিরুজ্জামান, প্রকল্প পরিচালক বিআইডব্লিউটিএর প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) এম এ মতিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নৌবাহিনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস ২০২৩ সালের মে মাসের মধ্যে টাগবোটগুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করবে।

বিআইডব্লিউটিএ এর বহের ড্রেজার বাড়ানো এবং ড্রেজিং ক্যাপাসিটি ৩২৬ লাখ ঘনমিটার বাড়ানোর লক্ষ্যে ৩৫টি ড্রেজারসহ ১৬১টি জলযান সংগ্রহের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের অক্টোবরে শুরু এই প্রকল্প ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে শেষ করা লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

৩৫টি ড্রেজারের মধ্যে দুটি ২৮ ইঞ্চি, আটটি ২৪ ইঞ্চি, আটটি ২০ ইঞ্চি, নয়টি ১৮ ইঞ্চি ও দুটি ১২ ইঞ্চি কাটার সাকশন ড্রেজার, দুটি ট্রেইলিং সাকশন হোপার ড্রেজার, দুটি ওয়াটার ইনজেকশন বা জেটিং ড্রেজার, দুটি সেল্ফ প্রপেল্ড পন্টুন মাউনটেড গ্রাব ড্রেজার।