শনিবার জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানান, লঘুচাপটির অবস্থান উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায়। এর কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় মেঘ তৈরি হচ্ছে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এর ফলে সমুদ্রবন্দর ও উপকূলীয় এলায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।”
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পযন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলার পরামর্শ দিয়েছে অধিদপ্তর।
এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) সারাদেশে বিস্তৃত হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ছে।
গত ২৪ ঘন্টায় সবচেয়ে বেশি ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে খুলনার কুমারখালীতে। এসময় ঢাকায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয় ৩০ মিলিমিটার।
সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারক জানান, দুয়েকদিনের মধ্যে লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে স্থলভাগে পৌঁছলে তা নিম্নচাপে রূপ নেবে। এ সময় মাঝারি থেকে ভারি ধরনের বৃষ্টি হবে অনেক এলাকায়। বৃষ্টি ঝরিয়ে তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে।