কোভিড: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির গুচ্ছ পরীক্ষা স্থগিত

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য ১৯ জুন অনুষ্ঠেয় গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2021, 06:44 PM
Updated : 11 June 2021, 06:49 PM

এ সিদ্ধান্তের কথা শুক্রবার রাতে বিডিনিউ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষার সময় জানিয়ে দেওয়া হবে।”

কবে নাগাদ পরীক্ষা নেওয়া হবে সে সিদ্ধান্ত নিতে সংক্রমণ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে কর্তৃপক্ষ। এবার প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি প্রাথমিক আবেদনের সময়ও বাড়ানো হয়েছে। ২৫ জুন রাত ১২ টার মধ্যে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রাথমিক আবেদন করতে পারবে।

প্রাথমিক বাছাইয়ে যারা উত্তীর্ণ হবেন, সেই শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৬০০ টাকা জমা দিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে।

যোগ্যতা অনুযায়ী সব শিক্ষার্থী প্রাথমিক আবেদন করতে পারলেও একযোগে যতজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া যাবে, মেধার ভিত্তিতে ততজনকে চূড়ান্ত আবেদনের সুযোগ দেওয়া হবে।

অধ্যাপক ইমদাদুল হক বলেন, “আমরা শীঘ্রই বসব। তখন কারা চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে পারবে তা জানিয়ে দেব। একই সাথে চূড়ান্ত আবেদনের সময়ও জানিয়ে দেওয়া হবে।”

২০১৯ ও ২০২০ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করতে পারবে।

গত ১৫ এপ্রিল সমন্বিত ভর্তি কমিটির ষষ্ঠ সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আবেদনকারীর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ নূন্যতম ৩ থাকতে হবে। মানবিকের শিক্ষার্থীরা জিপিএ ৬ এবং বাণিজ্যের শিক্ষার্থীরা জিপিএ সাড়ে ৬ থাকলে নতুন করে আবেদনের সুযোগ পাবেন।

এর আগে ভর্তির প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের জন্য বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জিপিএ ৮, বাণিজ্যের সাড়ে ৭ এবং মানবিকের শিক্ষার্থীদের জিপিএ ৭ থাকার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছিল।

সেখানে ভর্তিচ্ছুদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের জিপিএ ন্যূনতম সাড়ে ৩ করে থাকার শর্ত ছিল। মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের বেলায় এ ক্ষেত্রেও কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে।

যেসব শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক, তারা এ বছর পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেলেও পরবর্তীতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে এ সুযোগ থাকবে না।