সৌদিতে কোয়ারেন্টিনে ভর্তুকি পাবেন নতুন কর্মীরাও

সৌদি আরবে ফিরে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার খরচ হিসাবে সরকার যে ২৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছে, পুরনোদের সঙ্গে নতুন কর্মীরাও তা পাবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 June 2021, 05:14 PM
Updated : 10 June 2021, 05:14 PM

বৃহস্পতিবার প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, “নতুন কর্মীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সুবিধায় তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সৌদি আরবে কোনো প্রবাসী কর্মী গেলে তাদেরকে কমপক্ষে সাত দিন হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। সে কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুবিধার্থে কোয়ারেন্টিনের খরচ বাবদ ২৫ হাজার টাকা করে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, গত ২০ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি শেষে যারা নিজ খরচে সৌদি আরবে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন পালন করেছেন বা করবেন, তাদেরকে এই ভর্তুকি দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, “বিএমইটির স্মার্টকার্ডধারী কিংবা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে নিবন্ধিত সৌদিগামী নতুন-পুরাতন সকল প্রবাসী কর্মী সরকারি কোয়ারেন্টিন ভর্তুকি পাবেন।”

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় বলছে, এই ভর্তুকির টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মী বা তার মনোনীত প্রতিনিধির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে শিগগিরই পাঠিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মীরা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড অথবা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে কিংবা দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে ফরম সংগ্রহ করে তা পূরণ করে ৭ জুন ফ্লাইটের দিন বহির্গমনের আগে বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কে জমা দিতে পারবেন।

আবেদনপত্রের সঙ্গে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) দেওয়া স্মার্টকার্ড বা ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্টের প্রথম চার পৃষ্ঠার ফটোকপি, পাসপোর্টে সংযুক্ত ভিসার ফটোকপি, টিকেটের ফটোকপি এবং হোটেল বুকিংয়ের তথ্যের ফটোকপি জমা দিতে হবে।

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রবাসী যেসব কর্মী ইতোমধ্যে সৌদি আরব চলে গেছেন এবং নিজ ব্যয়ে কোয়ারেন্টিন সম্পন্ন করেছেন বা করছেন, তাদেরকে একই নিয়মে সংশ্লিষ্ট আবেদনপত্র পূরণ করে ৩০ জুনের মধ্যে ডাকযোগে সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস অথবা জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটে পাঠাতে হবে।

মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবে ১৩ লাখের বেশি বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কাজ করছেন। প্রতিবছর সৌদি আরব থেকেই সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স পায় বাংলাদেশ।