মহামারীতে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্ত এলাকা এবং ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে দুর্গত এলাকায় ভোট পেছানোর দাবি নিয়ে আলোচনা হবে এ বৈঠকে।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে ভোট না রাখার দাবিও জানিয়েছে তার দল, সেটাও উঠবে বৈঠকে।
চলতি বছর এপ্রিলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ার মধ্যে স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় আসনের ভোট স্থগিত রেখেছিল ইসি।
পরে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ২ জুন চারটি সংসদীয় আসন, ৩৭১ ইউপি ও ১১ পৌরসভার ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
তফসিল অনুযায়ী, স্থগিত লক্ষ্মীপুর-২ উপনির্বাচন, ৩৭১ ইউপি ও ১১ পৌরসভার ভোট হবে ২১ জুন। আর সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ উপনির্বাচন হবে ১৪ জুলাই।
তবে এখন সংক্রমণ আবার বাড়ছে। গত এক দিনে ২ হাজার ৫৩৭ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা দেড় মাসের মধ্যে সর্বাধিক।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, কমিশন ভোটের সিদ্ধান্ত নিলেও সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়ায় সীমান্তবর্তী সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও যশোর এলাকায় বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচন পেছানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসন ইসির কাছে আবেদন করেছে।
ভোটের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার সুপারিশ এসেছে আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি জরুরিভিত্তিতে বাস্তবায়নের অনুরোধ করা হয়।
সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত নোয়াখালী এলাকার কিছু নির্বাচনও পেছানোর দাবি উঠেছে।
জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেছে কমিশন। ভোট প্রস্তুতি নিয়ে কাল (বৃহস্পতিবার) কমিশন বৈঠক রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, মন্ত্রিপরষদ বিভাগের পত্র ও জাতীয় পার্টির দাবির বিষয়গুলো এ কমিশন সভায় আলোচনা করা হবে। এতে কোনো আপডেট বা সিদ্ধান্ত হলে জানানো হবে।”
গত বছর মার্চে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুরুর পর সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের ভোটগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনেই করে এসেছে ইসি।
বৃহস্পতিবারের আলোচ্যসূচি
>> সিলেট-৩, ঢাকা-১৪, কুমিল্লা-৫ ও লক্ষ্মীপুর-২ শূন্য আসনের নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনা।
>> ষষ্ঠ ধাপের ১১টি পৌরসভাসহ ১ম ধাপের ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের স্থগিতকৃত নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনা।
>> ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের সাধারণ নির্বাচন ও পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার পরিষদের অন্যান্য নির্বাচন এবং বিবিধ।