পাপুলের এমপি পদ বাতিল নিয়ে রিট আবেদনে আদেশ মঙ্গলবার

ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডের কারণে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্যপদ বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিট আবেদনে মঙ্গলবার আদেশ দেবে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2021, 02:52 PM
Updated : 7 June 2021, 02:52 PM

সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাই কোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি উপস্থাপনের পর শুনানি হয়।

কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল, ফাইল ছবি

সংসদের লক্ষ্মীপুর-২ নির্বাচনী আসন শূন্য ঘোষণা এবং উপনির্বাচনের তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পাপুলের বোন নুরুন্নাহার বেগম এবং তার মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকারী শাহাদাত হোসেন গত মার্চে ওই রিট আবেদনটি করেছিলেন।

সোমবার রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

রোকন উদ্দিন মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রিলিমিনারি হেয়ারিং (প্রাথমিক শুনানি) হয়ে গেছে। রুল ইস্যু করবে কি করবে না, বোঝা যাবে কালকে। আগামীকাল আদেশ দেবে।”

রাসেল চৌধুরী বলেন, “আমরা (রাষ্ট্রপক্ষ) এ রিটে আপত্তি জানিয়েছি। রিটের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে আদালত মঙ্গলবার আদেশের জন্য রেখেছেন।”

২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন পাপুল। পরে তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামকেও সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য করিয়ে আনেন।

অর্থ ও মানবপাচার এবং ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে গত বছর জুনে কুয়েতে গ্রেপ্তার হন পাপুল। ওই মামলার বিচার শেষে গত ২৮ জানুয়ারি তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয় কুয়েতের একটি আদালত।

সেদিন থেকেই পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে পরে গেজেট জারি করে সংসদ সচিবালয়। ওই আসনে উপনির্বাচনের জন্য ২১ জুন তারিখ ঘোষণা করে  তফষিলও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশের কোনো আইনপ্রণেতার এভাবে বিদেশে দণ্ডিত হওয়ার এবং সাজার কারণে পদ বাতিলেরও এটাই প্রথম ঘটনা।

পাপুলের পক্ষে রিট আবেদনে যুক্তি দেখানো হয়, বাংলাদেশের আদালতে দণ্ড না হওয়ায় বাংলাদেশের সংবিধানের বিধি এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

তবে রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ)অনুচ্ছদে দেশ বা বিদেশের আদালতের কথা সুনির্দিষ্ট করে বলা নেই। সেখানে ‘নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্তের কথা বলা হয়েছে। ফলে সংবিধানের সংশ্লিষ্ট এই অনুচ্ছেদ পাপুলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

এছাড়া পাপুলের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনে দুদকে মামলার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, কোনো পলাতক বা ফেরারী আসামি আইনি প্রতিকার পেতে পারে না।