সেই সঙ্গে ‘কথিত’ মামলাটির কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়েছে।
এই সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানির পর বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেয়।
কথিত মামলাটির কার্যক্রম কেন বাতিল করা হবে না, সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে জানিয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামী ৮ অগাস্ট পরবর্তী আদেশের জন্য তারিখ রাখা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “একজন সাধারণ নাগরিক ভুয়া মামলায় হয়রানি বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে কার্যবিধির ২৪৭ ধারা অনুযায়ী নিম্ন আদালত একজন আসামিকে খালাস দিতে পারেন অথবা মামলা খারিজ করতে পারেন।
“এই মামলাও হয়ত আদালত খারিজ করবেন অথবা আসামিকে খালাস দেবেন। কিন্তু আমার মক্কেলকে ভুয়া মামলায় জড়িয়ে কারা জেল খাটিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করতে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট আদালত তা মঞ্জুর করেননি। ফলে হাই কোর্টে আবেদন করি।”
ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ঝালকাঠির রাজাপুরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাকির হোসেন নামের একজন মামলা করেন।
মামলায় বাদী জাকির হোসেনের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে ৫২/ক/১, সড়ক- ৮-এ, ধানমণ্ডি।
পরে এই মামলায় রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটদিন জেল খাটার পর জামিনে বের হয়ে আসামি রফিকুল ইসলাম বাদীর ঠিকানায় খোঁজ নেন।
কিন্তু ঠিকানা ও ব্যক্তির হদিস না পেয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন। আদালত বাদীর টিকানা যাচাইয়ের নির্দেশ দেয় পুলিশকে।
সে অনুযায়ী পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে জানায়, বাদী মামলার আবেদনে যে ঠিকানা দিয়েছেন সেটির অস্তিত্ব নেই।
পরে ভুয়া মামলার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা এবং মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন রফিকুল ইসলাম।
সে আবেদনের শুনানি করেই আদেশ দিল উচ্চ আদালত।