ক্ষতিকর অ্যাপ বন্ধে পর্যালোচনা হচ্ছে: র‌্যাব ডিজি

অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে টিকটকসহ যেসব অ্যাপ ব্যবহার হচ্ছে সেগুলো বন্ধের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 June 2021, 02:06 PM
Updated : 5 June 2021, 02:06 PM

ঢাকায় শনিবার এক অনুষ্ঠানে র‌্যাবের প্রধান ‘টিকটক’ প্রসঙ্গে বলেন, “এখন এটা সৃষ্টি হয়েছে, আমরা তালিকা করছি। আমরা দেখছি আইনের বাইরে কেউ কাজ করেছে কিনা। যেই হোক আইনের বাইরে গেলে র‌্যাব তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

“ক্ষতিকর অ্যাপগুলো বন্ধ করার বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি পর্যালোচনা করছে, আমরা তাদের সহযোগিতা করছি।”

এফডিসি অডিটোরিয়ামে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজিত 'কিশোর অপরাধ বৃদ্ধিতে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার' নিয়ে এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন র‌্যাব মহাপরিচালক।

সম্প্রতি ভারতে বাংলাদেশের এক তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়ানোর পর ওই ঘটনার সঙ্গে ‘টিকটক’ ভিডিও তৈরিতে জড়িত কয়েকজনের নাম আসে।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “কিছু অপরাধ হঠাৎ করে হয়ে উঠেনি। এক্ষেত্রে সামাজিক, পারিবারিক কারণ রয়েছে। টিকটকের মত জিনিসগুলোর ব্যাপারে আমরা বলে থাকি পুলিশ কেন ব্যবস্থা নেয়নি। আমাদের কাছে যখন আসে আমরা বলি অভিভাবক-শিক্ষকরা কেন ব্যবস্থা নেয়নি। কেউ বলেন বিজ্ঞানীরা কেন ব্যবস্থা নেয়নি। এভাবে একে অপরের উপর দোষ চাপিয়ে সমাধান হবে না।”

এ ব্যাপারে পরিবারে বাবা-মায়ের নজরদারি বাড়ানোসহ সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে বলে মত দেন র‌্যাব মহাপরিচালক।

বর্তমান সমাজে প্রযুক্তি বর্জন না করে এর ইতিবাচক ব্যবহার করে জীবনমান উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সৃজনশীল কাজে বেশি সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে কিশোর অপরাধ হ্রাস করা সম্ভব।”

কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতার ব্যাপারেও র‌্যাব সার্বক্ষণিক নজর রাখছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারেও তালিকা হচ্ছে।

“ইভটিজিং, জঙ্গিবাদ নিয়ে আইনশঙ্খলা বাহিনীর সবাই মিলে কাজ করছি বলে নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক চাপ নেই।”

অনুষ্ঠানের সভাপতি ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সামাজিক যোগাযোগের অপব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

“টিকটক নামের বিতর্কিত অ্যাপ দিয়ে মেয়েদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। বিশেষ করে টিকটক, লাইকি, ইমু, স্ট্রিমকার, মাইস্পেস, হাইফাই, বাদু নামের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার কিশোর-তরুণদের বিপথগামী করছে।”

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ঢাকার শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজকে পরাজিত করে নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ চ্যাম্পিয়ন হয়।