এনবিআরের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর আয়ের ওপর ধার্য যে কর আদালতে আটকে গিয়েছিল, আগামী অর্থবছরে তা অর্থ আইনের আওতায় আরোপ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
Published : 03 Jun 2021, 07:32 PM
বৃহস্পতিবার ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে এই প্রস্তাব তুলে ধরে তিনি বলেন, “প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রযোজ্য সাধারণ করহার হ্রাস করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বা কেবলমাত্র তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষাদানে নিয়োজিত বেসরকারি কলেজ থেকে উদ্ভূত আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর নির্ধারণ করা হয়েছিল। মহান এ সংসদে আমি এ করহার অর্থ আইনের মাধ্যমে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।”
এর আগে ২০০৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হ্রাসকৃত হারে করপোরেট কর আরোপ করা হয়।
এনবিআরের জারিকৃত ওই প্রজ্ঞাপনে মেডিকেল, ডেন্টাল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষাদানে নিয়োজিত প্রাইভেট কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় করমুক্ত রাখা হয়। তবে ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রতিবছর নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ আয়কর বিবরণী দাখিলের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়।
পরে ২০১০ সালে নতুন আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সব ধরনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর আরোপ করে এনবিআর। এ প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে উচ্চ আদালতে ৪৬টি রিট আবেদন করা হয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আদায় না করতে এনবিআরকে নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।
সেই সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আয়কর আদায় বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে এনবিআরকে আপিল করার অনুমতি দেওয়া হয়।