চার আসন ও ৩৭১ ইউপির ভোটের তারিখ দিল ইসি

মহামারীর কারণে আটকে থাকা চার সংসদীয় আসনে উপ নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 June 2021, 10:34 AM
Updated : 2 June 2021, 10:40 AM

এর মধ্যে সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনে ১৪ জুলাই ভোট হবে। আর ২১ জুন লক্ষ্মীপুর-২ আসনে উপ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। চার আসনেই ভোট হবে ইভিএমে।

লক্ষ্মীপুরের ভোটের দিনই দেশের ১১ পৌরসভা এবং ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদের ভোটের তারিখ রেখেছে নির্বাচন কমিশন।

বুধবার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন সভায় এসব নির্বাচনের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়। পরে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত সূচি ঘোষণা করেন।

ইসি সচিব বলেন, “সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপ নির্বাচন করতে হচ্ছে ইসিকে।”

আসন শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনের উপনির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ শূন্য আসনের উপ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ১৫ জুন। ১৭ জুন যাচাই বাছাইয়ের পর ২৩ জুন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রচার শেষে ভোট হবে ১৪ জুলাই।

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ৩৭১ ইউপি এবং ১১ পৌসভায় তফসিল ঘোষণা হয়েছিল আগেই। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভোট হওয়ার কথা ছিল ১১ এপ্রিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় তা স্থগিত করা হয়েছিল।

দুই মাস আটকে থাকার পর বুধবার নির্বাচন কমিশন এসব নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য ২১ জুন নতুন তারিখ দিল।

এসব নির্বাচনে নতুন কোনো প্রার্থী যোগ হতে পারবেন না; আগের প্রার্থীরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবেন।  বিজ্ঞপ্তি জারির পর প্রচারণার সুযোগ পাবেন তারা।

গত ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী; ৪ এপ্রিল ঢাকা-১৪ আসনের আসলামুল হক এবং ১৪ এপ্রিল কুমিল্লা-৫ এর আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে তিনটি আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।

আর কুয়েতের আদালতে দণ্ডিত সংসদ সদস্য কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলের লক্ষ্মীপুর-২ আসন ২৮ জানুয়ারি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

বিএনপি ইতোমধ্যে চার আসনের উপ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের ‘অযোগ্যতায়’ প্রতিটি নির্বাচনে ‘সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপের কারণে’ তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।