বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা ক্যাডারে তিন বছর ধরে পদোন্নতি বন্ধ। একটি ধাপে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিয়ে তা অসম্পূর্ণ রেখে নয় মাস পর গত ৯ মে বাকি একটি ধাপের পদোন্নতির জন্য দফায় দফায় সভা করেও সিদ্ধান্ত নিতে না পারাটা ‘নজিরবিহীন’।
আবেদনে অন্যান্য ক্যাডারে যেভাবে শূন্যপদ না থাকা সত্ত্বেও ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে, সেভাবে শিক্ষা ক্যাডারেও পদোন্নতি দিয়ে জট দূর করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
পাশাপাশি দাবি করা হয়েছে, যেহেতু তিন বছর ধরে পদোন্নতি নেই, সেহেতু সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিযোগ্য ৩ হাজার ৩০৮ কর্মকর্তা এবং সহকারী অধ্যাপক পদে ২ হাজার ৪৭৬ কর্মকর্তার সবাইকে যেন পদোন্নতি দেওয়া হয়। যেহেতু এ পদোন্নতিটির অংশবিশেষ অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয় ২০২০ সালের ৩০ জুলাই, তাই ওই তারিখেই ভূতাপেক্ষভাবে পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন যেন জারি করা হয়।
পদোন্নতি না পাওয়া শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা ও শিক্ষকরা আশাহত ও হতোদ্যম হয়ে পড়ছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
শিক্ষা ক্যাডারের দীর্ঘদিনের দাবি অর্জিত ছুটি, পদসৃজন, পদআপগ্রেডেশন, এমফিল/পিএইচডির ইনক্রিমেন্ট বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনিষ্পন্ন ফাইলগুলো যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, সেই আবেদনও করেছেন শিক্ষা কর্মকর্তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এর আগে গত ৬ মে তারা শিক্ষামন্ত্রীকেও স্মারকলিপি দিয়ে এই দাবিগুলো জানিয়েছিলেন।