এই তিন শিক্ষার্থী হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ-এর ছাত্র সাদমান সাকিব রুপল ও আসহাব ওয়াদুদ তূর্য এবং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির আদিব আশরাফ।
ধানমন্ডি থানার মাদক আইনের মামলায় পুলিশের করা রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম বাকি বিল্লাহ রোববার ওই তিন যুবককে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দারা এলএসডির যোগসূত্র পেয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, গত বুধবার ঢাকার লালমাটিয়া ও ধানমণ্ডি থেকে হাফিজুরের তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের কাছ থেকে ২০০ ব্লট এলএসডি পাওয়া গেছে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাদমান বলেছেন, তিনি টেলিগ্রাম অ্যাপে যোগাযোগ করে টিম নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে নেদারল্যান্ডস থেকে এলএসডি আনিয়েছেন। সেজন্য প্রতি ব্লটে খরচ হয়েছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে ওই মাদক দেশে এসেছে।
সেগুলো বিক্রির জন্য তাদের দুটি ফেইসবুক গ্রুপ রয়েছে, যেখান থেকে অন্য মাদকও বিক্রি করা হত বলে পুলিশের ভাষ্য।
পরে ওই তিন যুবকের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে গোয়েন্দা পুলিশ।
সেই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার এস আই সালাউদ্দিন কাদের তাদের সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
রোবাবর শুনানি শেষে আদালত ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেয় বলে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কমকর্তা এস আই সাইফুর রহমান জানান।