রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার আদালত বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষে চেম্বার আদালতে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুনীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাই কোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিলাম। চেম্বার বিচারপতি আগামী রোববার পর্যন্ত জামিন স্থগিত করে আবেদনটি সেদিন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য রেখেছেন।”
দণ্ডপ্রাপ্ত ১৮ জনের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাই কোর্ট বেঞ্চ সাতজনকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিল।
দণ্ডপ্রাপ্ত আইনজীবী আবদুস সাত্তার, আব্দুস সামাদ, গোলাম রসুল, জহুরুল ইসলাম, রাকিব, শাহাবুদ্দিন ও মো. মনিরুল ইসলামকে চার মাসের জামিন দেওয়া হয় হাই কোর্টের ওই আদেশে। বাকিদের বিষয়ে রোববার আদেশ হওয়ার কথা রয়েছে।
এ মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে আবদুস সাত্তার ও আব্দুস সামাদের সাড়ে চার বছরের সাজা হয়েছে। আর গোলাম রসুল, জহুরুল ইসলাম, রাকিব, শাহাবুদ্দিন ও মো. মনিরুল ইসলামের সাজা হয়েছে চার বছর করে।
মঙ্গলবার জামিনের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর বিডিনিউ জটোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, রায়ের দুই মাসের ব্যবধানে দণ্ডপ্রাপ্তদের জামিন দেওয়া আইনগতভাবে ‘ঠিক হয়নি’। সে কারণে জামিন স্থগিত চেয়ে তারা চেম্বার আদালতে যাবেন।
ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ অগাস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
সড়ক পথে ঢাকায় ফেরার সময় কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলা হয়। বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়।
শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাসহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকরা আহত হন সেদিন।
সে সময় হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা করা হয়। দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবীর গত ৪ ফেব্রুয়ারি হত্যাচেষ্টার মামলায় বিএনপির সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।