নিখোঁজের ৮ দিন পর হাফিজুরের লাশ, তদন্তে ঢাবির কমিটি

নিখোঁজের আট দিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র হাফিজুর রহমানের লাশ শনাক্তের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2021, 05:24 PM
Updated : 24 May 2021, 05:41 PM

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন কুমার সাহার নেতৃত্বে চার সদস্যের কমিটিকে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সোমবার জানান প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী।

কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আব্দুল মুহিত, মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহাকারী অধ্যাপক এম এল পলাশ।

গত ১৫ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পর থেকে হাফিজুরের আর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার।

নিখোঁজের আটদিন পর পুলিশের সহায়তায় রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে হাফিজুরের লাশ শনাক্ত করেন তার বড় ভাই হাবিবুর রহমান।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ বলেছে, ১৫ মে রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে দা নিয়ে নিজের গলায় নিজেই ছরি দিয়ে আঘাত করেন হাফিজুর। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।

কোনো ওয়ারিশ না পাওয়ায় লাশ হাসপাতালের মর্গে রেখে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তখন পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে।

হাফিজুরের মৃত্যুর ঘটনাকে 'হত্যাকাণ্ড' উল্লেখ করে সোমবার সকালে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানীর কাছে গিয়েও তাদের দাবি পেশ করেন।

এরপর বিকেলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান প্রক্টর গোলাম রব্বানী

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। অতি দ্রুত তাদেরকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

“এছাড়া পুলিশ প্রশাসনও তাদের মতো করে বিষয়টি তদন্ত করবেন। ঘটনার সত্য উদ্ঘাটনে আমরা তাদেরকে অনুরোধ জানিয়েছি।”

হাফিজুরের মৃত্যুকে ‘অস্বাভাবিক’ অ্যাখায়িত করে সোমবার এক শোকবার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ জানায়, দ্রুততম সময়ে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।

প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ডিএমপি কমিশনারকেও উপাচার্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

এবিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি মামুন অর রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘটনা তদন্তে আমরা নির্দেশনা পেয়েছি। আমরা ঘটনার পর থেকেই কাজ করছি। কাজ করার ফলেই লাশটি শনাক্ত হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”