রোববার সংসদ ভবনে ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিলটির প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে পাসের সুপারিশ করা হয়।
সংসদের আসন্ন বাজেট অধিবেশনের শেষ দিকে খসড়া আইনটি পাস হতে পারে।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি রুহুল আমীন মাদানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বিলটি চূড়ান্ত করেছি। সংসদীয় কমিটিতে এখন রিপোর্ট আকারে পেশ করা হবে। আগামী অধিবেশনের শেষ দিকে হয়তো এটি পাস হবে।”
গত ৪ এপ্রিল ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিল-২০২১’ সংসদে তোলেন। পরে বিলটি ৪০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে বলা হয়েছে, হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার এই সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি গঠন করবে। হজ ও ওমরাহ এজেন্সিকে শর্ত মেনে নিবন্ধন নিতে হবে।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, হজের চুক্তি এখানে হওয়ার পর কেউ সৌদিতে গিয়ে ঠকালেও তার ওই অপরাধ বাংলাদেশে হয়েছে বলে গণ্য করে এই আইন অনুযায়ী বিচার করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, নিবন্ধন পেতে হলে হজ এজেন্সিকে ৩ বছর এবং ওমরাহ এজেন্সিকে দুই বছরের ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বিলে আরও বলা হয়েছে, হজ এজেন্সিগুলো অনিয়ম করলে তাদের নিবন্ধন বাতিলের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
ওমরা এজেন্সি অনিয়ম করলে তারা নিবন্ধন হারানোর সঙ্গে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়বে। এছাড়া জামানত বাজেয়াপ্ত, নিবন্ধন স্থগিত, সতর্কীকরণ ও তিরস্কারের শাস্তির কথা বলা হয়েছে এতে।
বিলে বলা হয়েছে, কোনো এজেন্সি পরপর দুইবার তিরস্কৃত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার নিবন্ধন দুই বছরের জন্য স্থগিত হয়ে যাবে।
আর কোনো এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল হলে ওই এজেন্সির অংশীদার বা স্বত্বাধিকারীরা পরে কখনও হজ বা ওমরা এজেন্সির নিবন্ধন পাবে না। অন্য কোনো এজেন্সির কাজেও সম্পৃক্ত হতে পারবে না।
হজ এজেন্সিগুলো স্বত্ত্ব পরিবর্তন করতে চাইলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে বলে প্রস্তাব্তি আইনে বলা হয়েছে।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি রুহুল আমীন মাদানীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, শওকত হাচানুর রহমান (রিমন), মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, জিন্নাতুল বাকিয়া ও তাহমিনা বেগম অংশ নেন।
এছাড়া ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বিশেষ আমন্ত্রণে বৈঠকে যোগ দেন।