‘মন্টানা লাউঞ্জ’ নামের ওই রেস্তোঁরাটির তিন মালিকের মধ্যে একজন অভিনেতা দম্পতি ওমর সানী ও আরিফা জামান মৌসুমীর ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীন।
গুলশান ১ ও ২ নম্বর সেকশনের মাঝামাঝি আরএম সেন্টার নামের ভবনে থাকা ওই রেস্তোরাঁয় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযানে যায় পুলিশ।
গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই রেস্তোরাঁ থেকে দুই প্যাকেট ও আরও কিছু খোলা সীসার উপকরণ পাওয়া গেছে। সেখান থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ওমর সানী দাবি করেন, শিশা বার চালানো অবৈধ বলে তার জানা নেই। আর যাদের পুলিশ নিয়ে গেছে, তারা নেহায়েতই রেস্তোরাঁকর্মী।
তবে গুলশান থানার ওসি বলেন, “যেহেতু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে শিশা নিষিদ্ধ, তাই প্রাথমিক যাচাইয়ের পর এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।”
ওমর সানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মনটানা লাউঞ্জ আমাদের। সাত থেকে আট মাস ধরে এটি চলছে। শিশার বিজনেস ইলিগ্যাল কোনো বিজনেস না। গুলশান-বনানীতে এটি ছাড়াও ৩০টির বেশি লাউঞ্জ রয়েছে।”
যাদের পুলিশ ধরে নিয়েছে, তাদের বিষয়ে তিনি বলেন, “সেই ছয়জন কিন্তু নেহায়েত গরিব মানুষ, চাকরি করে খায়।”
এই রেস্তোরাঁ আগে উত্তরায় ছিল জানিয়ে ওমর সানী বলেন, “উত্তরার লাউঞ্জটা তিন-চার বছর চালানোর পর কোভিডের কারণে লস দিয়ে চলে আসছি।”
তার দাবি, তার রেস্তোরাঁ মূলত খাবারের। ‘কিছু সময়’ শিশা ‘সার্ভ’ করা হয়।
“শিশা আমার মেইন বিজনেস না। এটা থেকে আমার রিজিক চলে না। আমি আইনের সাথেই শতভাগ আছি। আমার প্রশ্ন গুলশানে কি শুধু একটাই লাউঞ্জ আছে? নামকরা শিশা লাউঞ্জগুলো পাঁচ-সাত বছর ধরে চলছে। আমার জানা মতে, বাংলাদেশে দুই থেকে তিনশ লাউঞ্জ আছে।”
“পুরো বাংলাদেশে আজকের মধ্যেই যদি সব লাউঞ্জ বন্ধ হয়ে থাকে, তাহলে রাষ্ট্রের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু পার্টিকুলারলি আমাকে টার্গেট করে যদি করা হয়ে (অভিযান) থাকে, তাহলে রাষ্ট্রের কাছে বিচার চাইতেই হবে,” বলেন তিনি।