রোহিঙ্গাদের জন্য সাড়ে ১৫ কোটি ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের

নতুন মানবিক সহায়তা হিসেবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরও প্রায় ১৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2021, 05:28 PM
Updated : 18 May 2021, 05:28 PM

মঙ্গলবার রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ২০২১ সালের বাংলাদেশ জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের (জেআরপি) উদ্বোধনের পর এক বিবৃতিতে এ প্রতিশ্রুতির কথা জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

তিনি বলেন, “আমাদের সহায়তা বার্মার রাখাইন রাজ্য থেকে ভয়াবহ সহিংসতার মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা নারী ও শিশুসহ ৯,০০০০০ শরণার্থীর অত্যাবশ্যকীয় চাহিদা মেটাতে সহায়ক হবে।”

ব্লিংকেন বলেন, “নতুন এই তহবিলসহ ২০১৭ সাল থেকে আমাদের দেয়া মোট মানবিক সহায়তার পরিমাণ এক দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। যার মধ্যে এক দশমিক এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যয় করা হয়েছে।

“এই কার্যক্রমের কারণে আশ্রয়দানকারী দেশগুলোর ওপর, বিশেষত বাংলাদেশের ওপর যে ব্যয়ভার ও দায়-দায়িত্ব এসে পড়েছে সেগুলোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র অবগত আছে। এ অঞ্চলের যেসব দেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে তাদের জন্য আমরা আমাদের সহায়তা অব্যাহত রাখব।”

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় জনমত গঠন এবং তাদের ভবিষ্যৎ বিষয়ক আলোচনায় তাদেরকে অন্তর্ভুক্তকরার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাগিদ দেয়া অব্যাহত রাখবে বলে জানান ব্লিংকেন।

জেআরপির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ও প্রতিশ্রুতির বিস্তারিত তুলে ধরেন পিআরএম ব্যুরোর জ্যেষ্ঠকর্মকর্তা ন্যান্সি ইজো জ্যাকসন।

কক্সবাজারে সংকুচিত হয়ে আসা মানবিক ও সুরক্ষিত স্থানের বিষয়ে তার দেশ উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করে অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “মানবিক কার্যক্রমে নিয়োজিত অংশীদারদের উপর বিধিনিষেধ বৃদ্ধি জীবন রক্ষাকারী সেবাসমূহ সরবরাহ বিরূপভাবে প্রভাবিত করে।

“যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরো বিস্তৃত পরিসরে জীবিকা ও শিক্ষার সুযোগ তৈরি করার জন্য এবং সুরক্ষা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে উত্‌সাহিত করছে, যদিও আমাদেরকে অব্যাহতভাবে কোভিড-১৯ মোকাবেলা করতে হচ্ছে।”

ভাসানচর বিষয়ে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যকার সংলাপকে স্বাগত জানিয়ে জ্যাকসন বলেন, “এই বিষয়ে নিবিড়ভাবে পরামর্শের জন্য আমরা উৎসাহিত করি।

“আমরা একথা পুনরায় উল্লেখ করতে চাই যে, ভাসানচরে শরণার্থীদের যেকোনো ধরনের স্থানান্তর স্বেচ্ছায় ও শরণার্থীদের চলাচলের স্বাধীনতা সংক্রান্ত অধিকারের সম্মান রক্ষা করে হতে হবে।”

ভাসানচরে থাকা শরণার্থীদের কাছে জাতিসংঘের স্বাধীন প্রবেশাধিকার অনুমোদনের পাশাপাশি দ্বীপের একটি সমন্বিত কারিগরি ও সুরক্ষা অবস্থা মূল্যায়ন করার অনুমতি দিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।