মঙ্গলবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এক বিবৃতিতে এই দাবি করেন।
সরকারি নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক কর্মকর্তার কক্ষে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়।
রাতে তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডিবিধির কয়েকটি ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ।
মঙ্গলবার রোজিনাকে আদালতে তুলে রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালত এই আবেদন নাকচ করে দিয়ে বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির দিন ধার্য্য করেছে।
বিবৃতিতে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের দপ্তরে দীর্ঘ সময় আটকে রেখে ‘হেনস্তা’ করা এবং পরে মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তারা রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে ‘কল্পিত অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে’ দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান।
তারা বলেন, “পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই অনুসন্ধানী সাংবাদিক সচিবালয়ে হামলার শিকার হলেন, যা অত্যন্ত গর্হিত এবং ন্যক্কারজনক।
বিবৃতিতে বলা হয়, রোজিনা ইসলাম তার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরে ছিলেন। তার প্রতিবেদনে করোনাকালীন জনগনের স্বাস্থ্য অধিকার রক্ষায় মন্ত্রণালয়ের দুর্বলতা ও অব্যবস্থাপনার চেহারা জনগনের সামনে আসে। তিনি প্রতিবেদনে সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছিলেন; যাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের কতিপয় কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টা তার বিষয় সামনে আসে।”
ওয়ার্কার্স পার্টির শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, “রোজিনাকে হেনস্থা করার ঘটনা প্রমাণ করে তিনি ‘চরম আক্রোশের’ শিকার।“
বিবৃতিতে রোজিনা ইসলামকে হয়রানি করায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান মেনন ও বাদশা।
আরও পড়ুন